মঙ্গলবার জয়পুরে হয়ে গিয়েছে আইপিএলের নিলাম। যা নিয়ে সরগরম ক্রিকেটমহল। কেউ কেউ পেয়েছেন বেস প্রাইসের কয়েকগুণ দাম। এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে নিলামে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক আইপিএলের নিলামে সবচেয়ে দামি ক্রিকেটারদের।
২০১৫ সালের নিলামে যুবরাজ সিংকে ১৬ কোটি টাকায় নিয়েছিল দিল্লি ডেয়ারডেভিলস। যা এখনও পর্যন্ত রেকর্ড। এ বারের নিলামে যুবিকে এক কোটি টাকার বেস প্রাইসে নিয়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।
২০১৭ সালের নিলামে পুণে সুপারজায়ান্টস ১৪.৫ কোটি টাকায় নিয়েছিল ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার বেন স্টোকসকে। এর আগের দুই মরসুম ধরেই স্টোকসের দিকে নজর ছিল ক্রিকেটপ্রেমীদের। এখনও পর্যন্ত বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে তিনিই সবচেয়ে দামি।
ফের যুবরাজ সিংহ। এ বার তাঁর দল উঠেছিল ১৪ কোটি টাকা। ২০১৪ সালের নিলামে বাঁ-হাতিকে নিয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম হাফ-সেঞ্চুরির রেকর্ড তখন যুবির দখলেই ছিল।
আবার বেন স্টোকস। ২০১৮ সালের শুরুর দিকে হওয়া নিলামে রাজস্থান রয়্যালস ১২.৫ কোটি টাকায় নিয়েছিল তাঁকে। ব্যাটে ১৯৬ রান, বলে আট উইকেট নেওয়ায় পরের বছরের জন্য তাঁকে রেখে দিয়েছে রাজস্থান।
২০১৪ সালের নিলামে উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান দীনেশ কার্তিককে ১২.৫ কোটি টাকায় নিয়েছিল দিল্লি ডেয়ারডেভিলস। যা তখন চাঞ্চল্য তৈরি করেছিল। কার্তিক বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলেছেন আইপিএলে।
এই বছরের শুরুতে হওয়া আইপিএলের নিলামে জয়দেব উনাদকাটকে ১১.৫ কোটি টাকায় নিয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস। বাঁ-হাতি পেসার তার আগের আইপিএলে পুণে সুপারজায়ান্টসের হয়ে নজর কেড়েছিলেন।
২০১১ সালের নিলামে গৌতম গম্ভীরকে ১১.৪ কোটি টাকায় নিয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। তাঁকে সেবার অধিনায়কও করা হয়। গম্ভীরের নেতৃত্বে দু’বার চ্যাম্পিয়ন হয় কেকেআর।
লোকেশ রাহুলকে এই বছরের শুরুতে হওয়া নিলামে ১১ কোটি টাকায় নেয় কিংস ইলেভেন পঞ্জাব। ৬৪৯ রান করে রাহুল তার মর্যাদাও দেন। ওপেনারের ভূমিকায় তিনি ভরসা দেন দলকে।
আবার দীনেশ কার্তিক। ২০১৫ সালের নিলামে ১০.৫ কোটি টাকায় তাঁকে নেয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। কার্তিক এখন কলকাতার অধিনায়ক।
২০১২ সালের নিলামে রবীন্দ্র জাডেজাকে ৯.৭২ কোটি টাকায় নেয় চেন্নাই সুপার কিংস। বাঁ-হাতি অলরাউন্ডার তখন থেকে এখনও খেলছেন সিএসকে-র হয়েই।