বিশ্বকাপের জন্য প্রথম ১৫ জনের নাম ঘোষণা করেছে বিসিসিআই। যার মধ্যে বেশ কিছু চমকও রয়েছে। বিজয় শঙ্কর-দীনেশ কার্তিকরা যেমন সুযোগ পেয়েছেন, তেমনই বাদ পড়তে হয়েছে ঋষভ পন্থদের। দেখে নেওয়া যাক এমন কয়েক জনকে যাঁরা চূড়ান্ত ১৫ জনের দলে সুযোগ পাননি। এমনই ক্রিকেটারদের নিয়ে প্রথম একাদশ তৈরি করলে কেমন হত জানেন?
মায়াঙ্ক আগরওয়াল: অভিষেকেই চমক দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই তাঁর সঙ্গে বীরেন্দ্র সহবাগের তুলনা শুরু হয়ে গিয়েছে। আগামী দিনে ভারতের অন্যতম নির্ভরযোগ্য ওপেনার হতে চলেছেন। ভারতীয় দলের রোহিত –শিখরের বিকল্প হিসেবে অনেকেই পৃথ্বী শ’য়ের সঙ্গে মায়াঙ্কের কথা ভাবতে শুরু করেছেন।
অজিঙ্ক রাহানে: সীমিত ওভারের ক্রিকেটে হঠাৎই কেমন ছন্দ হারা মনে হয়েছিল কিছু দিন আগে। যদিও আইপিএল বেশ ভালই শুরু করেছেন। ফর্মে থাকলে বড় রান করার সব রকম সম্ভাবনা রয়েছে।
অম্বাতি রায়ডু: এক সময় চার নম্বরের জন্য প্রথম পছন্দ ছিলেন। কিন্তু, ধারাবাহিকতার অভাব, চাপের মুহূর্তে নিজেকে প্রমাণ করতে ব্যর্থতা রীতিমতো ব্যাকফুটে ঠেলে দিল রায়ডুকে। সুযোগ পেয়ে গেলেন লোকেশ রাহুল।
শুভমান গিল: প্রয়োজনে ইনিংস শুরু করতে পারেন। আবার মিডল অর্ডারের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে গিলের উপস্থিতি। ভবিষ্যতে ভারতীয় দলের নিয়মিত ক্রিকেটার হতে চলেছেন।
মণীশ পাণ্ডে : রিজার্ভ বেঞ্চের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার। দ্রুত রান তোলার ক্ষমতা আছে। প্রয়োজনে বড় পার্টানশিপও করতে পারেন।
ঋষভ পন্থ: এই মুহূর্তে সব থেকে আলোচিত ক্রিকেটার। এক সময় মনে করা হচ্ছিল, বিশ্বকাপে ১৫ জনের দলে থাকবেন। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত কার্তিক সুযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনাও শুরু হয়ে গিয়েছে। শুধু উইকেটরক্ষক নন, ব্যাটসম্যান হিসেবেই দলের ভরসার পাত্র তিনি।
অক্ষয় পটেল: অলরাউন্ডার অক্ষয় পটেলকে টপকে সুযোগ পেয়েছেন হার্দিক-শঙ্কররা। তবে, স্পিনের পাশাপাশি ব্যাট হাতেও রান করার ক্ষমতা রাখেন অক্ষয়।
রবি অশ্বিন: এক সময় ভারতীয় দলের প্রধান স্পিনার ছিলেন। কিন্তু, চহাল-কুলদীপের দাপট যত বেড়েছে, ততই সীমিত ওভারের ক্রিকেট থেকে সরে গিয়েছেন। যদি সুযোগ না পাওয়া ক্রিকেটারদের একাদশ তৈরি করা করা হয়, তাহলে তার অধিনায়ক হতে পারতেন অশ্বিন।
উমেশ যাদব: ভারতীয় পেস আক্রমণ যাঁদের নিয়ে স্বপ্ন দেখেছে, তাঁদের মধ্যে উমেশ অন্যতম। যদিও শেষ পর্যন্ত বুমরা-ভুবি-শামির দাপটে সুযোগ পাননি। বিকল্প হিসেবে উমেশ অবশ্যই পছন্দের মধ্যে থাকবেন।
খালিল আহমেদ: দ্বিতীয় প্রজন্মের পেস আক্রমণ অনেকটাই নির্ভরশীল খালিলের উপর। এ বার সুযোগ আসেনি ঠিকই, কিন্তু আগামী দিনে জাতীয় দলের পেস আক্রমণের নেতৃত্ব দেবেন তা নিয়ে সন্দেহ নেই।
শার্দুল ঠাকুর: এখনও পর্যন্ত জাতীয় দলের নিয়মিত ক্রিকেটার হতে পারেননি। বোলিংয়ে বৈচিত্র আছে। নিজেকে পরিণত করতে পারলে পেস আক্রমণের ভরসা দেবেন।