এশিয়া কাপে দ্বিতীয় বার মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান। প্রথম বার রোহিত বাহিনীর সামনে উড়ে গিয়েছে সরফরাজরা। দ্বিতীয় বার কী ঘটবে? এই ম্যাচে দু’দলের নজর কাড়তে পারেন কারা। দেখে নেওয়া যাক এক নজরে।
কুলদীপ যাদব: এশিয়া কাপে তিন ম্যাচে তিন উইকেট। কিন্তু তাঁর প্রভাব উইকেট সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি। বাঁ হাতি লেগস্পিন-গুগলির কোন বলটা ভিতরে আসবে, কোনটা বাইরে যাবে, কেউই ভাল করে বুঝতে পারছেন না!
শাদাব খান: পাকিস্তানের সেরা স্পিন অস্ত্র হিসেবে এসেছিলেন। প্রথম ম্যাচে তিন উইকেট পাওয়ার পরে এই লেগস্পিনার গ্রুপ পর্বের ম্যাচে চোট পেয়ে বাইরে চলে যান। চেষ্টা চলছে আজ ভারতের বিরুদ্ধে নামানোর।
যুজবেন্দ্র চহাল: টি-টোয়েন্টি থেকে উত্থান হলেও প্রথাগত লেগস্পিনারের মতো বড় টার্ন এবং গুগলিই তাঁর অস্ত্র। চহাল এবং কুলদীপের জুটিকে বলা হয় কুল-চা। তিন ম্যাচে তিন উইকেট, ওভার প্রতি রান দিয়েছেন ৪.৪৪।
মহম্মদ নওয়াজ: শোয়েব আখতারের রাওয়ালপিন্ডি থেকে উঠে আসা বাঁ হাতি স্পিনার। মাত্র ১২টি ওয়ান ডে খেলে পেয়েছেন ১২ উইকেট। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ১০ ওভারে ৫৭ রান দিয়ে নেন তিন উইকেট।
রবীন্দ্র জাডেজা: প্রথমে স্কোয়াডে ছিলেন না। অক্ষর পটেলের পরিবর্ত হিসেবে দলে ঢুকে চার উইকেট নেন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। স্পিন-সহায়ক পিচে আজ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মহারণেও অন্যতম প্রধান অস্ত্র।
হ্যারিস সোহেল: বাঁ হাতি স্পিনার। প্রায় তিরিশ বছর বয়স হলেও মাত্র ২৫টি ওয়ান ডে খেলেছেন। তাতে নিয়েছেন মাত্র ১০ উইকেট। আগের ম্যাচে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ৬ ওভারে ৩০ রান দেন। উইকেট পাননি।
কেদার যাদব: ভারতীয় স্পিনের নয়া চমক। গ্রুপ পর্বে পাকিস্তানকে তিনিই ভাঙেন তিন উইকেট নিয়ে। ওভার প্রতি রান দিয়েছেন ৩.১৮। আপাত নিরীহ অফস্পিনকে হাল্কা ভাবে নিয়ে ঠকতে পারেন ব্যাটসম্যানেরা।
শোয়েব মালিক: ভারতের বিরুদ্ধে দারুণ রেকর্ড। তবে ত্রুটিপূর্ণ বোলিং অ্যাকশন নিয়ে আইসিসি-র কোপে পড়ার পর থেকে মালিকের বোলিংয়ে ধার কমেছে। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে চার ওভারে দেন ২১ রান। তবে ব্যাট হাতে মালিক দারুন ফর্মে আছেন।