দশ হাজার টেস্ট রানের এলিট ক্লাবের নবতম এবং সর্বকনিষ্ঠ সদস্য অ্যালিস্টার কুক নিয়ে প্রচুর লেখালিখি হয়েছে। তবে ইংল্যান্ড অধিনায়ককে সবচেয়ে দামি সার্টিফিকেটটা বোধহয় দিলেন সুনীল গাওস্কর। কিংবদন্তি ভারতীয় ক্রিকেট তারকা বলে দিলেন, ভবিষ্যতে সচিন তেন্ডুলকরের টেস্ট রানের রেকর্ডকেও চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারেন কুক। সঙ্গে অবশ্য এটাও ইঙ্গিত দিলেন যে, সেটা হলে তাতে কুকের ক্রিকেটীয় প্রতিভার চেয়ে বেশি অবদান থাকবে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের।
‘‘ইংল্যান্ড সব সময়ই একটা বড় সুবিধে পায়। সেটা হল, ওরা বছরে অন্তত এগারো-বারোটা টেস্ট খেলতে পারে। সেই এগারো-বারোটা টেস্টের প্রতিটায় যদি হাফসেঞ্চুরিও করে কুক, তা হলে বছরে ওর প্রায় ৫০০ রান হয়ে যাচ্ছে,’’ বলেছেন গাওস্কর। সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘‘আগামী ছ’সাত বছরে এ রকম একটা সময় আসতেই পারে যখন কুক একটা দুর্দান্ত বছর কাটাল। যখন ও হাজারখানেক রান করে ফেলল। তা হলে তো সচিনকে ছোঁয়ার ভাল রকম সুযোগ ও পেয়ে যাচ্ছে।’’ গাওস্করের আরও ব্যাখ্যা, ‘‘বয়স কুকের পক্ষে। তা ছাড়া ও খুব ফিট প্লেয়ার। ওর বয়স বত্রিশের কম। আরও সাত-আট বছর খেললে কুক খুব ভাল সুযোগ পাবে সচিনকে টপকে যাওয়ার।’’
গত সোমবার সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে দশ হাজার টেস্ট রান করেন অ্যালিস্টার কুক। তাঁর বয়স এখন ৩১ বছর পাঁচ মাস। দশ হাজারের রেকর্ড তাঁর আগে করেছেন মাত্র এগারোজন ব্যাটসম্যান। তেন্ডুলকর, রিকি পন্টিং, জাক কালিস, রাহুল দ্রাবিড়, কুমার সঙ্গকারা, ব্রায়ান লারা, শিবনারায়ণ চন্দ্রপল, মাহেলা জয়বর্ধনে, অ্যালান বর্ডার, স্টিভ ওয় ও গাওস্কর স্বয়ং। এর মধ্যে দ্বিতীয় ওপেনার হিসেবে এই মাইলফলক ছুঁলেন কুক। গাওস্কর মনে করছেন, সেটা বাড়তি প্রশংসার। ‘‘ওপেনারদের বেশি সুইং সামলাতে হয়। পিচও তখন বেশি তাজা থাকে। তা ছাড়া ভাল প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডে খেলা বেশ কঠিন,’’ বলছেন তিনি।
দশ হাজারের ক্লাবে কাদের থাকা উচিত ছিল, সেই প্রশ্নের উত্তরে চার জন ক্রিকেটারের নাম করেন গাওস্কর। এঁরা— স্যর গারফিল্ড সোবার্স, স্যর ভিভ রিচার্ডস, জাভেদ মিয়াঁদাদ এবং ইনজামাম উল হক।