Coronavirus

ডাক্তারদের উপর কেন হামলা, শাস্তির দাবি ভাইচুংদের

বুধবার ইনদওরে দুই মহিলা চিকিৎসক-সহ পাঁচজন স্বাস্থ্যকর্মী জনতার ছোড়া পাথরের ঘায়ে জখম হয়েছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০২০ ০৪:১৭
Share:

আবেদন: মেডিক্যাল পরীক্ষাতেও জোর দিচ্ছেন ভাইচুং। ফাইল চিত্র

গত কয়েক দিনে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের উপরে হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করলেন ভারতীয় ফুটবল দলের প্রাক্তন অধিনায়ক ভাইচুং ভুটিয়া ও অ্যাথলিট হিমা দাস।

Advertisement

শুক্রবার সকালে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের প্রথম সারির ক্রীড়া ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে টেলি-বৈঠক করেন। সেখানেই এই দুই ক্রীড়াবিদ তাঁদের এই মনোভাব জানান। সংশ্লিষ্ট ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন ভাইচুং। অন্য দিকে, হিমা জানিয়ে দেন, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের উপরে হামলার ঘটনায় তিনি ব্যথিত।

বুধবার ইনদওরে দুই মহিলা চিকিৎসক-সহ পাঁচজন স্বাস্থ্যকর্মী জনতার ছোড়া পাথরের ঘায়ে জখম হয়েছিলেন। এই ঘটনায় অভিযুক্ত সাতজনকে পুলিশ বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করেছে। এ দিন প্রধানমন্ত্রীকে ভাইচুং আবেদন করেন, ‘‘ইনদওরের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হোক। এই মুহূর্তে চিকিৎসকেরা দুর্দান্ত ভাবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। কিন্তু অনেক সময়েই তারা সুরক্ষিত থাকছেন না।’’ ভারতের হয়ে ১০৭টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা এই স্ট্রাইকার যোগ করেন, ‘‘চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের পিপিই (বিশেষ পোষাক ও সরঞ্জাম) ও এন৯৫ মুখাবরণ গোটা ভারতে দিতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে। এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা ওই বৈঠকে ভাইচুং রোগ-পরীক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে বলেন, ‘‘সংক্রমণ প্রতিরোধে রোগ-পরীক্ষার বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ। যদি সবাইকে এই পরীক্ষা করা যায়, তা হলে ভাল হয়। সেখানে সিকিম, উত্তরবঙ্গ ও উত্তর-পূর্ব ভারতে পরীক্ষার সরঞ্জাম ও পিপিই-র অভাব রয়েছে। যা অশনিসঙ্কেত।’’

Advertisement

অন্য দিকে, হিমা বলেন, ‘‘টেলি-বৈঠকে আমন্ত্রণ পাওয়ার জন্য ধন্যবাদ প্রধানমন্ত্রীকে। কী ভাবে করোনা-অতিমারির বিরুদ্ধে লড়াই করা হবে, সে সম্পর্কে বিশদে জানালেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীকেও জানিয়েছি, লকডাউনের সময় কী ভাবে আমরা সেই নিয়ম মেনে সময় কাটাচ্ছি।’’ বিশ্ব যুব অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতা থেকে পদকজয়ী অ্যাথলিট আরও বলেন, ‘‘যাঁরা লকডাউন মানছেন না, তাঁদের রোষের শিকার হচ্ছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। যা আমাকে ব্যথিত করেছে। এ ছাড়াও, ২১ দিন পরে লকডাউন উঠে গেলে যতক্ষণ না এই মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে আমরা জয়ী হচ্ছি, ততক্ষণ যেন নিয়ম মানা হয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন