Afganistan Womens Cricket

‘আমরা কখনও দেশ ছাড়তে চাইনি’, লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন মহিলা আফগান ক্রিকেটারেরা

স্বপ্ন এখনও বেঁচে রয়েছে। তালিবেরা আফগানিস্তানের শাসন ভার নেওয়ার পর থেকেই যদিও মহিলা ক্রিকেটারদের খেলা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। দেশের মহিলা ক্রিকেটারদের অবস্থার কথা জানালেন ফিরুজা আমিরি।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০২৫ ২০:২০
Share:

ফিরুজা আমিরি। —ফাইল চিত্র।

ক্রিকেট বিশ্বে আফগান মহিলাদের আর কখনও দেখা যাবে? উত্তর অজানা। যদিও ২৫ জন মহিলা ক্রিকেটার এখনও আফগান ক্রিকেট বোর্ডের চুক্তিতে রয়েছেন। তাই স্বপ্ন এখনও বেঁচে রয়েছে। তালিবেরা আফগানিস্তানের শাসন ভার নেওয়ার পর থেকেই যদিও মহিলা ক্রিকেটারদের খেলা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। দেশের মহিলা ক্রিকেটারদের অবস্থার কথা জানালেন ফিরুজা আমিরি।

Advertisement

আফগানিস্তানের মহিলা ক্রিকেটারদের অবস্থার কথা জানে আইসিসি। তারা ব্যবস্থা নিতেও শুরু করেছে। এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আফগান ক্রিকেটার আমিরি বলেন, “আফগানিস্তানের মহিলা ক্রিকেটারদের জন্য আইসিসি আলাদা করে কমিটি তৈরি করেছে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। জানি কী হবে, তাই এই নিয়ে মন্তব্য করব না। তবে আমরা আশাবাদী।”

বোর্ডের চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটারদের অন্যতম আমিরি। তিনি ভাল ক্রিকেট খেলতে চান। দেশের জার্সি পরতে চান। কিন্তু এখন তাঁর বাস অস্ট্রেলিয়ায়। সেখানেই এই বছর একটি ম্যাচ খেলেছেন। আমিরি বলেন, “তিন বছরের অনিশ্চয়তা, কষ্ট, নিস্তব্ধতার পর আফগানিস্তানের জার্সি পরার সুযোগ পেয়েছিলাম। আমাদের কাছে ওটা শুধু একটা ম্যাচ ছিল না। অনেক আবেগ জড়িয়ে ছিল। খুব গর্ব হচ্ছিল। স্বস্তি পেয়েছিলাম অনেকটা। আফগান ক্রিকেটার হিসাবে আমাদের পরিচয়টা যে এখনও জীবিত সেটা বুঝতে পারছিলাম। মাঠে আবার সতীর্থদের সঙ্গে নামতে পেরেছিলাম। স্বপ্ন সত্যি হয়েছিল। ওই ম্যাচটা প্রমাণ করে আমাদের রাস্তা এখনও শেষ হয়নি।”

Advertisement

আফগানিস্তানের দায়িত্ব এখন তালিবদের হাতে। ক্রিকেট বোর্ডের মাথাতেও তারা। ফলে বোর্ডের তরফ থেকে কোনও সাহায্য পাওয়ার আশা করছেন না আমিরি। চুক্তির অন্তর্গত ২৫ জন ক্রিকেটারের মধ্যে ১৯ জন এখন অস্ট্রেলিয়ায়। তাঁরা সকলে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন বলেও জানান আমিরি। তিনি বলেন, “আমরা কখনও দেশ ছাড়তে চাইনি। বাধ্য হয়ে ছেড়েছিলাম। নিজের বাড়ি থেকে দূরে থাকতে কে চায়? পরিবারের থেকে দূরে রয়েছি আমরা। যেখান থেকে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলা, সেই জায়গাটার থেকেই দূরে। এই হতাশাকেই আমরা জেদে পরিণত করেছি।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement