India VS England Test Series

প্রকাশ্যে ‘অ্যান্ডারসন-তেন্ডুলকর ট্রফি’, টেস্ট ক্রিকেটকে জীবনের সঙ্গে তুলনা করলেন সচিন

হেডিংলেতে প্রথম টেস্ট শুরুর আগের দিন প্রকাশ্যে এল ‘অ্যান্ডারসন-তেন্ডুলকর ট্রফি’। নতুন ট্রফির সঙ্গে ছবি তোলেন জেমস অ্যান্ডারসন ও সচিন তেন্ডুলকর।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০২৫ ২১:০৪
Share:

নতুন ট্রফির সঙ্গে জেমস অ্যান্ডারসন (বাঁ দিকে) ও সচিন তেন্ডুলকর। ছবি: পিটিআই।

আগে থেকেই দিন ঠিক ছিল। সেইমতো শুক্রবার হেডিংলেতে ভারত-ইংল্যান্ড প্রথম টেস্ট শুরুর আগের দিন প্রকাশ্যে এল ‘অ্যান্ডারসন-তেন্ডুলকর ট্রফি’। যাঁদের নামে এই দুই ট্রফি সেই জেমস অ্যান্ডারসন ও সচিন তেন্ডুলকরের উপস্থিতিতে ট্রফি উন্মোচন হল। সেখানেই সচিন জানালেন, টেস্ট ক্রিকেট তাঁর কাছে জীবনের মতো।

Advertisement

এর আগে ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজ়ের নাম ছিল ‘পটৌদী ট্রফি’। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক মনসুর আলি খান পটৌদীর নামে ছিল এই ট্রফি। কিন্তু এ বারের সিরিজ়ের আগে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড সিদ্ধান্ত নেয়, ট্রফির নামবদল হবে। ইংল্যান্ড ও ভারতের হয়ে সবচেয়ে বেশি টেস্ট খেলা দুই ক্রিকেটার অ্যান্ডারসন ও সচিনের নামে ট্রফির নাম দেওয়া হবে। তা নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল। পটৌদীর নাম সরানোয় ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন অনেকে। শেষে সচিনের অনুরোধে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে, জয়ী দলের অধিনায়ককে একটি বিশেষ পদক দেওয়া হবে। তার নাম পটৌদীর নামে থাকবে।

ট্রফির গায়ে সচিন ও অ্যান্ডারসনের ছবি রয়েছে। তাঁদের সইও রয়েছে। টেস্টের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন সচিন (২০০)। তার পরেই রয়েছেন অ্যান্ডারসন (১৮৮)। দুই কিংবদন্তিকে সম্মান জানাতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইংল্যান্ডের ক্রিকেট বোর্ড। তাতে সায় রয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডেরও।

Advertisement

টেস্টের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রানের মালিক সচিন। লাল বলের ক্রিকেটে ১৫,৯২১ রান করেছেন তিনি। ২৪ বছর ধরে টেস্ট খেলেছেন সচিন। অন্য দিকে টেস্টে ৭০৪ উইকেট নিয়েছেন অ্যান্ডারসন, যা পেসারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। তাঁর উপরে রয়েছেন দুই স্পিনার মুথাইয়া মুরলিথরন ও শেন ওয়ার্ন।

তাঁর নামাঙ্কিত ট্রফির উন্মোচনে গিয়ে সচিন বলেন, “আমার কাছে টেস্ট ক্রিকেট জীবনের মতো। এক দিন খারাপ গেলে পরের দিন ফেরার সুযোগ থাকে। অনেক কিছু শেখা যায়। এটা ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় ফরম্যাট। এখান থেকে শৃঙ্খলা, ধৈর্য ও কঠিন পরিস্থিতিতে মানিয়ে নেওয়ার শিক্ষা পাওয়া যায়, যা জীবনের প্রতি পদক্ষেপে কাজে লাগে। সেখানে যে আমার নাম জুড়ে গেল সেটা আমার কাছে গর্বের।”

একই সুর শোনা গিয়েছে অ্যান্ডারসনের গলাতেও। তিনি বলেন, “এটা আমার ও আমার পরিবারের কাছে গর্বের মূহূর্ত। ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যে লড়াই ক্রিকেটের ইতিহাসে এক সোনার অধ্যায়। কত দুর্দান্ত সব মুহূর্ত রয়েছে। সেখানে যে আমার নাম জুড়ে গেল, তাতে আমি দু’দেশের বোর্ডকে ধন্যবাদ জানানোর ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। আশা করি, এ বারও দারুণ একটা সিরিজ় দেখব।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement