উচ্ছ্বাস মধ্যাঞ্চলের ক্রিকেটারদের। ছবি: পিটিআই।
ইনিংসে হার বাঁচাল দক্ষিণাঞ্চল। কিন্তু দলীপ ট্রফি জয় থেকে মধ্যাঞ্চলকে আটকানো কার্যত অসম্ভব। সোমবার পঞ্চম দিনে ৬৫ রান তুললেই ১১ বছর পর দলীপ ট্রফি জিতে নেবে তারা। দক্ষিণাঞ্চলের হয়ে লড়াই করলেন অঙ্কিত শর্মা এবং আন্দ্রে সিদ্ধার্থ।
১২৯ রানে ২ উইকেট নিয়ে খেলা শুরু করেছিল দক্ষিণাঞ্চল। টপ অর্ডার ভাল খেলতে পারেনি। দলকে বাঁচাতে এগিয়ে আসতে হয় লোয়ার মিডল অর্ডারের দুই ব্যাটার অঙ্কিত এবং সিদ্ধার্থকে। অঙ্কিত মাত্র এক রানের জন্য শতরান করতে পারেননি। সিদ্ধার্থ অপরাজিত থেকেছেন ৮৪ রানে। সপ্তম উইকেটে তারা ১৯২ রান তুলেছেন বলেই ইনিংস হার বাঁচাতে পেরেছে দক্ষিণাঞ্চল। শেষ পর্যন্ত তারা ৪২৬ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছে।
এক সময় ২২২ রানে ৬ উইকেট পড়ে গিয়েছিল দক্ষিণাঞ্চলের। তখন পিছিয়ে ছিল ১৪১ রানে। চাপের মুখে ক্রিজ় কামড়ে লড়াই করেন অঙ্কিত। মধ্যাঞ্চলের দুই পেসার দীপক চাহার এবং কুলদীপ সেন ক্রমাগত অফস্টাম্পের বাইরে বল করে তাঁকে লোভ দেখানোর চেষ্টা করে গিয়েছেন। তাতে কাজ না হওয়ায় বাউন্সার করেছেন। তাতেও টলানো যাচ্ছিল না অঙ্কিতকে।
উল্টো দিকে পেয়ে যান সিদ্ধার্থকে। সিদ্ধার্থের কাকা শ্রীধরন শরথ তামিলনাড়ুর প্রাক্তন ব্যাটার। ৯০-এর দশকে বহু বার রাজ্য দলকে বাঁচিয়েছেন। তাঁর খেলার ধরনই খুঁজে পাওয়া গিয়েছে সিদ্ধার্থের খেলায়। নিজের উইকেট যেমন ধরে রেখেছিলেন, তেমনই দর্শনীয় কিছু শটও দেখা গিয়েছে তাঁর ব্যাট থেকে।
দ্বিতীয় সেশনে কোনও উইকেট পড়েনি দক্ষিণাঞ্চলের। চা বিরতির পরে আচমকাই কুমার কার্তিকেয়কে তুলে মারতে গিয়ে রজত পাটীদারের হাতে সহজ ক্যাচ দেন অঙ্কিত। এর পর দক্ষিণাঞ্চলের বাকি তিনটি উইকেট সহজেই ফেলে দেয় মধ্যাঞ্চল। ইনিংস শেষ হওয়ার পর দিনের খেলাও শেষ হয়ে যায়।