জফ্রা আর্চার। —ফাইল চিত্র।
এক জন চোট সারিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় টেস্টের দলে ফিরেছেন। অন্য জনেরও চোট রয়েছে। পঞ্চম টেস্টের আগে তাঁর দলে ফেরার কথা। জফ্রা আর্চার দ্বিতীয় টেস্টের দলে ফিরলেও তাঁর প্রথম একাদশ এখনই নিশ্চিত নয়, এমনটাই মনে করেন সতীর্থ মার্ক উড। আর্চারকে চ্যালেঞ্জ করেছেন তিনি।
সংবাদমাধ্যমে একটা সাক্ষাৎকারে উড বলেন, “আমরা নিজেদের লড়াই লড়ছি। আর্চার তৈরি। আমি আরও কয়েক দিনে তৈরি হয়ে যাব। কিন্তু ইংল্যান্ডের দলে ভাল পেসারের অভাব নেই। তাই দলে ঢোকা মানেই প্রথম একাদশ নিশ্চিত নয়। তার জন্য আমাদের লড়তে হবে।”
প্রথম একাদশে জায়গা পাওয়ার জন্য লড়লেও একে অপরকে প্রতিপক্ষ ভাবতে অবশ্য নারাজ উড। এখন ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ় খেলছে ইংল্যান্ড। এর পর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে অ্যাশেজ় রয়েছে। এই দুই সিরিজ়ে প্রতিপক্ষকে হারানোর জন্য তাঁদের এক হয়ে লড়তে হবে, এমনটাই মনে করেন তিনি। উড বলেন, “দলে জায়গা পাওয়ার জন্য লড়লেও আমরা প্রতিপক্ষ নই। আমাদের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত, কী ভাবে ভারত ও অস্ট্রেলিয়াকে হারাব। আমরা নিজেদের সেরাটা দেব। তার পরে নির্বাচক ও ম্যানেজমেন্ট যাদের মনে করবে, তাদের দলে নেবে। তবে যারাই সুযোগ পাই না কেন, ইংল্যান্ডকে জেতানো আমাদের সকলের প্রধান লক্ষ্য।”
২০১০-১১ মরসুমের পর থেকে অস্ট্রেলিয়াকে অ্যাশেজ়ে তাদের দেশে হারাতে পারেনি ইংল্যান্ড। যদি তাদের ২০২৫-২৭ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠতে হয় তা হলে ভারতের পর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেও সিরিজ় জিততে হবে। এই দুই সিরিজ়ে বোলারদের বড় ভূমিকা থাকবে। তাই দলের সব পেসারকে সুস্থ অবস্থায় চাইছে ইংল্যান্ড। আর্চার সুস্থ হয়েছেন। এ বার উডের পালা। বাকি দুই পেসার ওলি স্টোন ও গাস আ্যাটকিনসন কবে সুস্থ হবেন সে বিষয়ে অবশ্য এখনও কিছু জানা যায়নি।
শেষ বার ২০২১ সালে ভারত সফরে লাল বলের ক্রিকেট খেলেছিলেন আর্চার। তার পর থেকে কনুই ও পিঠের চোটে অনেকটা সময় মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছে আর্চারকে। মাঝের চার বছরে মাত্র সাতটা সাদা বলের ম্যাচ খেলেছেন তিনি। চোট সারিয়ে গত আইপিএলে নেমেছিলেন আর্চার। সেখানেই আবার আঙুলে চোট পান তিনি। ফলে প্রথম টেস্টে খেলতে পারেননি। গত মাসে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে সাসেক্সের হয়ে খেলেন আর্চার। সেখানেই দ্বিতীয় টেস্টের প্রস্তুতি সারেন তিনি। তার পরেই তাঁকে দ্বিতীয় টেস্টের দলে নেওয়া হয়েছে।
উড চোট পেয়েছিলেন চলতি বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সময়। হাঁটুর সেই চোট এখনও পুরো সারেনি তাঁর। ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে প্রথম সারির চার পেসারকে ছাড়া নেমেছিল ইংল্যান্ড। তার পরেও ভারতকে হারিয়েছে তারা। সেই কারণেই উড মনে করেন, সুস্থ হলেই প্রথম একাদশে সুযোগ পাওয়া যাবে না। তার জন্য লড়তে হবে। সতীর্থ আর্চারকে সেই চ্যালেঞ্জই করেছেন তিনি।