Chris Cairns

Chris Cairns: ম্যাচ গড়াপেটায় অভিযুক্ত জোরে বোলারকে বাসও ধুতে হয়েছে

জোরে বোলার বলেছেন, ‘‘দীর্ঘ দিন ধরে তীব্র রাগ এবং হতাশার মধ্যে কাটাচ্ছি। আমি অস্ট্রেলিয়ায় চলে যাই জীবনের খোঁজে। কিন্তু তাও আমার রাগ কমেনি।’’

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ মে ২০২২ ২১:০৩
Share:

ক্রিস কেয়ার্নস। ছবি: টুইটার

ম্যাচ গড়াপেটা কাণ্ডে অবশেষে মুখ খুললেন ক্রিস কেয়ার্নস। প্রাক্তন অলরাউন্ডারের অভিযোগ, তাঁকে অপরাধী সাজানো হয়েছিল।

নিউজিল্যান্ডের সর্বকালের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার হিসেবে বিবেচনা করা হত কেয়ার্নসকে। কিন্ত তিনিই ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগে নির্বাসিত হন ২০১৫ সালে। সেই ঘটনার পরেই মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন কেয়ার্নস। গুরুতর অসুস্থ অবস্থাতেই কাটাচ্ছেন কয়েক বছর। গত ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁর হৃদযন্ত্রে অস্ত্রোপচার হয়েছে। কিছু দিন আগে তাঁর ক্যান্সার ধরা পড়েছে।

Advertisement

ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগ নিয়ে অবশ্য তিনি এত দিন কিছু বলেননি। অবশেষে মুখ খুললেন। তিনি বলেন, ‘‘দীর্ঘ দিন ধরে তীব্র রাগ এবং হতাশার মধ্যে কাটাচ্ছি। আমি অস্ট্রেলিয়ায় চলে যাই জীবনের খোঁজে। কিন্তু তাও আমার রাগ কমেনি। গত সাত মাসে আমার চিন্তা ভাবনার অনেক পরিবর্তন হয়েছে। এখন আর আমার কাছে এটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।’’

ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগে দীর্ঘ দিন তদন্তকারীদের মুখোমুখি হতে হয়েছে কেয়ার্নসকে। সে সময় নিউজিল্যান্ডের দুই প্রাক্তন ক্রিকেটার ব্রেন্ডন ম্যাকালাম এবং লুই ভিনসেন্ট তাঁর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন। দীর্ঘ তদন্ত নিয়ে কেয়ার্নস বলেছেন, ‘‘আমাকে খলনায়ক সাজানো হয়েছিল। দীর্ঘ তদন্ত আমাকে ইস্পাতের মতো কঠিন করে দিয়েছিল। সে সময় বেঁচে থাকাই চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছিল আমার কাছে।’’

Advertisement

ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত হওয়ার পর দেশে তীব্র নিন্দা, সমালোচনার মুখে পড়েন কেয়ার্নস। কোনও কাজও পাননি। পরিবার প্রতিপালনের জন্য এক সময় বাস ধোয়ার কাজ করতেন। লরির গ্যারাজেও কাজ করতেন। কেয়ার্নসের সেই কঠিন লড়াই সম্পর্কে তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু তথা নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার ডিয়ন ন্যাস বলেছেন, ‘‘পরিবারের পাশে দাঁড়াতে প্রচুর কষ্ট করতে হয়েছে কেয়ার্নসকে। নিজের সেরা চেষ্টাই করেছে। নিজের মানসিক শক্তি দেখিয়েছিল। কঠোর পরিশ্রম করত। সংসার চালাতে বাস ধোয়ার কাজও করতে হয়েছে ওকে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন