মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। — ফাইল চিত্র।
সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির ইতিহাসে প্রথম বার বিজয়ী হয়েছে ঝাড়খণ্ড। ঈশান কিশনের শতরানের সুবাদে ফাইনালে হরিয়ানাকে হারিয়েছে তারা। তবে ঈশান বা কুমার কুশাগ্রের মতো ক্রিকেটারেরা নয়, ঝাড়খণ্ডের সাফল্যের নেপথ্যে আসলে রয়েছেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি।
কোচ নিয়োগ করা থেকে শুরু করে কোন ক্রিকেটারদের দিকে বেশি নজর দিতে হবে, তা সবই হয়েছে ধোনির পরামর্শে। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক বরাবর আড়ালেই থেকেছেন। কিন্তু যখন যা পরামর্শ দরকার দিয়েছেন। রাজ্যের দুই প্রাক্তন ক্রিকেটার শাহবাজ় নাদিম এবং সৌরভ তিওয়ারি যথাক্রমে যুগ্ম সচিব এবং সচিব হয়ে আসার পর থেকেই বদল এসেছে।
সম্প্রতি ঝাড়খণ্ড কোচ হিসাবে নিয়োগ করে রতন কুমারকে। তিনি গত আট বছর ধরে ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন বয়সভিত্তিক ক্রিকেট দলে কোচিংয়ের দায়িত্ব সামলেছেন। সানি গুপ্তকে বোলিং কোচ করা হয়। এই দু’টি কাজই হয়েছে ধোনির পরামর্শে।
‘ক্রিকইনফো’ ওয়েবসাইটে নাদিম বলেছেন, “মরসুম শুরু করার আগে কোচিং স্টাফ নিয়োগ করা থেকে শুরু করে বাকি প্রায় সব কাজে আমরা সব সময় ওর (ধোনি) মতামত এবং সাহায্য নিয়েছি। ঝাড়খণ্ড দলের প্রতি ওর খুবই আগ্রহ রয়েছে। ও চায় ঝাড়খণ্ড সব প্রতিযোগিতায় ভাল খেলুক। এত বড় ক্রিকেটার আমাদের দলের দিকে নজর রাখছে, এটা ভেবেই খুব ভাল লাগছে।”
নাদিম আরও বলেছেন, “ধোনি সব ম্যাচই খুব কাছ থেকে অনুসরণ করে। মুস্তাক আলি প্রতিযোগিতার গোটাটাই নজরে রেখেছে। ক্রিকেটারদের শক্তি-দুর্বলতা লিখে রেখেছে এবং সেটা নিয়ে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করেছে। ঝাড়খণ্ডের হয়ে যারা খেলে তাদের সকলের পরিসংখ্যান ও জানে। ঝাড়খণ্ডের ক্রিকেটের উন্নতিতে প্রচণ্ড ভাবে সাহায্য করতে চায় ধোনি।”
ফলও পাওয়া গিয়েছে। মুস্তাক আলিতে ১১টি ম্যাচের মধ্যে ১০টিই জিতেছে ঝাড়খণ্ড। গ্রুপে দিল্লি, তামিলনাড়ু, কর্নাটকের মতো শক্তিশালী দল থাকলেও ঝাড়খণ্ড সকলের উপরে শেষ করেছে। ১০ ইনিংসে ৫১৭ রান করে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছেন অধিনায়ক ঈশান। ভারতীয় দলেও আবার ডাক পেয়েছেন।