বিরাট কোহলি। —ফাইল চিত্র।
রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলি একই দিনে অবসর নিচ্ছিলেন। কিন্তু রোহিতকে বাধা না দিলেও কোহলিকে সেই সময় আটকে দিয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। রোহিত অবসর নিয়েছিলেন ৭ মে। তার আগের দিন রাতেই ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ শুরু হয়েছিল। সেই কারণেই বোর্ডের তরফে কোহলিকে অবসর ঘোষণা থেকে বিরত রাখা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।
১৪ বছরের টেস্ট কেরিয়ারে ১২৩টি ম্যাচে ৯২৩০ রান করেছেন কোহলি। গড় ৪৬.৮৫। এখন থেকে শুধু এক দিনের ক্রিকেট খেলবেন কোহলি। ৭ মে রোহিত অবসর ঘোষণা করেছিলেন। সে দিনই সমাজমাধ্যমে অবসর ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কোহলিও। কিন্তু ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ সূত্রে খবর, কোহলিকে কিছু দিন অপেক্ষা করে যাওয়ার উপদেশ দিয়েছিল বোর্ড। সেই সময় ভারত-পাকিস্তান সংঘাত শুরু হয়ে গিয়েছিল। সেই কারণেই কোহলিকে অপেক্ষা করতে বলা হয়েছিল। বোর্ডকে আরও আগে অবসর নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন কোহলি, সেই সময় যদিও বোর্ড তাঁকে আরও ভাবার উপদেশ দেয়।
গত শনিবার থেকে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়। সোমবার কোহলি বোর্ডকে জানান যে, তিনি সমাজমাধ্যমে অবসর ঘোষণা করতে চলেছেন। পরিবারের সঙ্গে বেশি সময় কাটানোর জন্যই টেস্ট ক্রিকেট থেকে কোহলি অবসর নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। শেষ কয়েক বছরে কোহলিকে বেশ কয়েক বার পরিবারের জন্য ইংল্যান্ড যেতে দেখা গিয়েছে। বছরের বেশির ভাগ সময় স্ত্রী অনুষ্কা শর্মা এবং কোহলির সন্তানেরা ইংল্যান্ডেই থাকেন। সেই কারণে বার বার সেই দেশে গিয়েছেন কোহলি।
সোমবার সমাজমাধ্যমে কোহলি লিখেছিলেন, ‘‘১৪ বছর আগে প্রথম টেস্ট ক্রিকেটের নীল ব্যাগি টুপি পরেছিলাম। সত্যি বলতে তখন জানতাম না, ক্রিকেটের এই ফরম্যাট আমাকে কতটা এগিয়ে নিয়ে যাবে। কল্পনাও করিনি। এই ফরম্যাট আমার পরীক্ষা নিয়েছে। আমাকে তৈরি করেছে। আমাকে শিক্ষা দিয়েছে। সারা জীবন এই শিক্ষা বহন করব।’’ তিনি আরও লিখেছিলেন, ‘‘সাদা পোশাকে খেলার মধ্যে কিছু ব্যক্তিগত গভীর বিষয় থাকে। শান্ত পরিবেশ, দীর্ঘ সময় খেলা, ছোট ছোট মুহূর্তগুলো কেউ দেখতে পায় না। তবে এগুলো চিরকাল আমার সঙ্গে থাকবে।’’
কোহলি জানিয়েছেন অবসরের সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ ছিল না। তিনি লিখেছিলেন, ‘‘ক্রিকেটের এই ফরম্যাট থেকে সরে যাওয়া সহজ নয়। তবু সিদ্ধান্তটা ঠিক মনে হচ্ছে। আমার সব কিছু এই ফরম্যাটের জন্য দিয়েছি। যা আশা করেছিলাম, তার থেকে অনেক বেশি ফিরে পেয়েছি।’’ শেষে লিখেছিলেন, ‘‘কৃতজ্ঞতায় ভরা হৃদয় নিয়ে বিদায় নিচ্ছি। যাদের সঙ্গে মাঠ ভাগ করে নিয়েছি এবং এই যাত্রা পথে যাদের সাহায্য পেয়েছি, সকলের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। সব সময় হাসি মুখে নিজের টেস্টজীবনের দিকে ফিরে দেখব। ২৬৯ নম্বর টুপির যাত্রা শেষ হল।’’ লেখার শেষে কোহলি দিয়েছিলেন ভালবাসার ইমোজি।