মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। —ফাইল চিত্র।
গত আইপিএলে সকলের নীচে শেষ করলেও আগামী বছরের প্রতিযোগিতা নিয়ে আশাবাদী মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। তাঁর বিশ্বাস, চেন্নাই সুপার কিংস ২০২৬ সালে ভাল ফল করবে।
ধোনির আশাবাদী হওয়ার কারণ রুতুরাজ গায়কোয়াড়। ধোনি মনে করছেন চোট সারিয়ে রুতুরাজ আবার দলে ফিরলে চেন্নাইয়ের ব্যাটিং শক্তিশালী হবে। গত আইপিএলে কনুইয়ে চোট পেয়ে মাঝপথে প্রতিযোগিতা থেকে সরে গিয়েছিলেন রুতুরাজ।
তার পর আরও এক বার চেন্নাইয়ের অধিনায়কত্ব করার দায়িত্ব নেন ধোনি। কিন্তু তাতে লাভ হয়েনি। পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়ন সিএসকে ১৪টা ম্যাচের মধ্যে মাত্র ৪টে জিতে ১০ নম্বরে শেষ করে।
শনিবার এক অনুষ্ঠানে ধোনি বলেন, “আমরা ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে সামান্য চিন্তিত। কিন্তু মনে হয় সমস্যার সমাধান করে ফেলেছি। রুতুর চোট ছিল। কিন্তু ও ফিরে আসছে। ফলে আমাদের আর কোনও সমস্যা নেই।”
এই বছর যে ছোট নিলাম আছে তাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছেন ধোনি। সেখানে দল গুছিয়ে নেওয়ার লক্ষ্য তাঁর। ধোনি বলেন, “গত বছর সিএসকে খুব খারাপ খেলেছিল, এটা আমি বলব না। কিন্তু কিছু কিছু ফাঁক আছে, যেটা আমাদের মেরামত করতে হবে। ডিসেম্বরে ছোট নিলাম। সেখানেই ওই ফাঁকগুলো ভরাট করতে হবে।”
গত দুটো বছর চেন্নাই যে প্রত্যাশা অনুযায়ী খেলতে পারেনি সেটা স্বীকার করে নিয়ে ধোনি বলেন, “গত দুটো বছর আমাদের জন্য খুব ভাল যায়নি। আমরা প্রত্যাশা অনুযায়ী খেলতে পারিনি। কিন্তু শেখাটা গুরুত্বপূর্ণ। দল খারাপ খেলতেই পারে। কিন্তু কোথায় ভুল হচ্ছে, এই প্রশ্নটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সবচেয়ে আগে আমাদের বুঝতে হবে সমস্যা কোথায়। তার পর সমাধানের রাস্তা বার করতে হবে।”
ধোনি বরাবরই বলেন, পদ্ধতিটা আসল, ফল নয়। সেই দর্শন থেকে খানিকটা সরে এসে তিনি শনিবার বলেন, “আমরা পদ্ধতির কথা বলি। কিন্তু একই সঙ্গে আমরা ফলও চাই। গত বছর সেই ফল আমরা পাইনি। এখন সামনের দিকে তাকাচ্ছি। আমরা আশাবাদী।”
ধোনির কথায় আরও এক বার উঠে এসেছে সিএসকে-র সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্কের কথা। ধোনি বলেন, “আমাদের সম্পর্কটা বহু দিনের। সেটা আইপিএল শুরু হওয়ার অনেক আগে। ২০০৫ সালে চেন্নাইয়ে আমার যখন টেস্ট অভিষেক হয়েছিল তখন থেকে। সিএসকে আমায় অনেক সাহায্য করেছে। সেই কারণেই আমি ৪৫-৫০ দিন এখানে থাকি। সময় যত এগিয়েছে এই সম্পর্ক তত নিবিড় হয়েছে। মানুষ হিসাবে আমি অনেক উন্নত হয়েছি। ক্রিকেটার হিসাবেও। এটা চেন্নাইয়ের জন্য যেমন ভাল, আমার জন্যও ভাল। আমরা যখন, ‘সিএসকে’ বলি, সেই ব্র্যান্ডটা শুধু ভারতে নয়, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা বা যে কোনও ক্রিকেটখেলিয়ে দেশেই সমাদর পায়।”