(বাঁ দিকে) আলি খান তারিন এবং মহসিন নকভি (ডান দিকে)। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) পাঠানো আইনি নোটিস সমাজমাধ্যমে লাইভ করে ছিঁড়ে ফেললেন মুলতান সুলতানের অন্যতম কর্ণধার আলি খান তারিন! প্রতিযোগিতার অব্যবস্থা নিয়ে সমাজমাধ্যমে পাক বোর্ডের কর্তাদের সমালোচনা করেছিলেন তারিন। তার প্রেক্ষিতে ক্ষুব্ধ পিসিবি কর্তারা ওই আইনি নোটিস পাঠিয়েছিলেন।
মহসিন নকভির নেতৃত্বাধীন পাক বোর্ডের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন তারিন। পাকিস্তান সুপার লিগেরও (পিএসএল) সমালোচনা করেছিলেন। তাঁর অভিযোগ, অংশীদার বা সহযোগীদের কোনও কথাই শোনেন না পাকিস্তানের ক্রিকেট কর্তারা। কারও মতামত শোনার মতো সহনশীলতা নেই ক্রিকেট কর্তাদের।
সমাজমাধ্যমে তাঁর এমন প্রতিক্রিয়া ভাল ভাবে নেননি পিসিবি কর্তারা। তাঁকে আইনি নোটিস পাঠানো হয়। তাতে বলা হয়, পিসিবি সম্পর্কে অবমাননাকর পোস্ট মুছে ফেলে ক্ষমা চাইতে হবে তারিনকে। না হলে তাঁর দল মুলতান সুলতানের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা হবে।
পিসিবির আইনি নোটিস পেলেও কোনও হেলদোল নেই তারিনের মধ্যে। সমাজমাধ্যমে আবার লাইভে এসে তিনি বলেছেন, পিসিবির হুমকিতে পিছিয়ে যাওয়ার লোক তিনি নন। আগের পোস্ট মুছবেন না। ক্ষমাও চাইবেন না। পিসিবির পাঠানো আইনি নোটিসটি ছিঁড়ে ফেলেন। তারিন সুর চড়িয়ে বলেছেন, ‘‘পিএসএল ম্যানেজমেন্টের বিরুদ্ধে আমি যা যা বলেছি, সে সব প্রত্যাহার করে প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাইলে মুলতান সুলতানের ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি চুক্তি বাতিল করা হবে বলা হয়েছে। আমাকে সারা জীবনের জন্য পিএসএলে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে। যাতে আমি কখনও পিএসএলের সঙ্গে যুক্ত হতে না পারি। ওরা আসলে এটাই চায়। পিসিবি কর্তারা চান, আমাদের মতো সহযোগীরা মুখ বন্ধ করে রাখুক। তাঁরা তাঁদের মতো কাজ চালিয়ে যাবেন। ওঁদের মনে রাখা উচিত, আমাদের মতো অংশীদারদের ছাড়া চলতে পারবেন না। কর্তারা সব সময় স্তাবকদের নিয়ে চলতে পছন্দ করেন। সামান্য সমালোচনাও সহ্য করতে পারেন না।’’
পাক বোর্ডের চিঠি যে ভাবে একটি দল প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলেছে, তা দেখে পাকিস্তানেই টিটকিরি, আওয়াজ দেওয়া চলছে। বিশেষ করে নকভিকে নিয়ে হাসাহাসি শুরু হয়েছে। তাঁকে খোঁচা দেওয়া শুরু হয়েছে।
গত পিএসএলের সময় থেকেই পাক বোর্ডের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে মতবিরোধ চলছে তারিনের। প্রাক মরসুম পরিকল্পনা নিয়ে পিসিবি কর্তাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করেন গত এপ্রিলে। সে সময় তাঁর অভিযোগ ছিল, পিএসএলকে আরও বড় এবং সফল প্রতিযোগিতা করতে চান না পিসিবি কর্তারাই। বছরের পর বছর নানা অব্যবস্থা নিয়ে নিজের বিরক্তিও গোপন করেননি। সেই সংঘাত এ বার আইনি লড়াইয়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।