হায়দরাবাদের জার্সিতে নীতীশ রেড্ডি। ছবি: সমাজমাধ্যম।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে আর তিনি আইপিএল খেলতে চাইছেন না, এমন একটা জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছিল রবিবার সকাল থেকেই। তার উত্তর দিলেন নীতীশ রেড্ডি। সমাজমাধ্যমে সংক্ষিপ্ত বার্তার মাধ্যমে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
নীতীশ লিখেছেন, “বাইরের আওয়াজ থেকে আমি বরাবর দূরে থাকতেই পছন্দ করি। কিন্তু কিছু জিনিসের ব্যাখ্যা দেওয়া দরকার। হায়দরাবাদের সঙ্গে আমার যে সম্পর্ক তা গড়ে উঠেছে বিশ্বাস, সম্মান এবং বছরের পর বছর থাকা আবেগের উপর ভিত্তি করে। আমি সব সময় দলের পাশে থাকব।” এই বার্তার মাধ্যমেই নীতীশ স্পষ্ট করে দিয়েছেন, তিনি হায়দরাবাদ ছেড়ে অন্য কোথাও যেতে চান না।
রবিবার সকালে জানা গিয়েছে, নীতীশের পারফরম্যান্সে হায়দরাবাদ কর্তৃপক্ষ অখুশি নন। তবু তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। আসলে নীতীশই নাকি আর হায়দরাবাদের হয়ে খেলতে চাইছিলেন না। এমনিতে হায়দরাবাদ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সংঘাত নেই ভারতীয় দলের অলরাউন্ডারের। নীতীশ তাঁর ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে অখুশি ছিলেন বলে জল্পনা রটে। একই সঙ্গে তিনি আইপিএল খেলতে চান অলরাউন্ডার হিসাবে। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, নীতীশ নিজেই হায়দরাবাদ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছেন তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য।
গত আইপিএলে হায়দরাবাদের হয়ে ১৩টি ম্যাচ খেলেন নীতীশ। তাঁকে মূল বিশেষজ্ঞ ব্যাটার হিসাবে খেলানো হয়েছিল। ব্যাটিং অর্ডারের পাঁচ থেকে সাতের মধ্যে রাখা হচ্ছিল। দু’একটি বাদে সব ম্যাচেই নামেন ছয় বা সাত নম্বরে। ফিনিশার হিসাবে করেন ১৮২ রান। গোটা আইপিএলে বল করার সুযোগ পেয়েছিলেন ৫ ওভার। অথচ ২০২৪ সালের আইপিএলে তিনি ৩০৩ রান করেছিলেন। হায়দরাবাদের হয়ে তাঁকে যে ভূমিকা পালন করতে হচ্ছে, তাতে খুশি নন বলেও দাবি করা হয়েছিল। তাই না কি দল পরিবর্তনের কথা ভাবছেন নীতীশ। তা ছাড়া হায়দরাবাদের ব্যাটিং অর্ডারের প্রথম চারে জায়গা নেই নীতীশের। ট্র্যাভিস হেড, অভিষেক শর্মা, ঈশান কিশন, হেনরিক ক্লাসেনেরা পর পর নামেন ব্যাট করতে। এঁদের কাউকে সরিয়ে নীতীশের জায়গা পাওয়া কঠিন ব্যাটার হিসাবে।
লর্ডস টেস্টে চোট পাওয়ায় ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বাকি সিরিজ় থেকে ছিটকে গিয়েছেন নীতীশ। ফিরে এসেছেন দেশে। ফেরার পরেই জড়িয়েছেন আইনি জটিলতায়। তাঁরই প্রাক্তন এজেন্ট মামলা করেছে, পাঁচ কোটি না দেওয়ার অভিযোগে। অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট সিরিজ় চলার মাঝেই ওই সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয় নীতীশের। এর পর তিনি ভারতেরই অন্য এক ক্রিকেটারের ম্যানেজারের সঙ্গে চুক্তি সই করেন। দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করে ওই সংস্থা জানিয়েছে, চুক্তি ভেঙেছেন নীতীশ। পাশাপাশি প্রাপ্য টাকাও দেননি।