পাক অধিনায়ক ফাতিমা সানা। —ফাইল চিত্র।
এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে করমর্দন করেননি ভারতের ক্রিকেটারেরা। প্রতিবাদে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আসেনি ভারত। তবে এক দিনের বিশ্বকাপে পাকিস্তানের মহিলা ক্রিকেটারেরা সেই কাজ করলেন না। দল হারলেও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এলেন অধিনায়ক ফাতিমা সানা। কথাও বললেন সঞ্চালকের সঙ্গে। তবে এই ম্যাচেও দুই দলের ক্রিকেটারেরা করমর্দন করেননি।
ম্যাচের পর ভারতের অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর বলেন, “জিততে পেরে খুব খুশি। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ ছিল। দুর্দান্ত বোলিং করেছি আমরা। ক্রান্তি অসাধারণ বল করেছে। রেণুকাও ওকে অনেকটা সাহায্য করেছে।” ফিল্ডিংয়ের ব্যর্থতা নিয়েও ভাবছেন না অধিনায়ক। বলেছেন, “আমরা অনেক সুযোগ তৈরি করেছি। অনেক সুযোগ ফস্কেছি। তবে জিতেছি এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”
যতটা ভেবেছিলেন, কলম্বোর পিচে ততটা রান তুলতে পারেননি হরমনপ্রীতেরা। সেই প্রসঙ্গে বললেন, “এই পিচে ব্যাট করা সহজ ছিল না। আমরা চেয়েছিলাম যতটা বেশি সময় সম্ভব ব্যাট করতে এবং যত বেশি পারি রান তুলতে।” তাঁর সংযোজন, “গত কয়েক দিন ধরে এখানে বৃষ্টি হচ্ছিল। তাই বল থেমে থেমে আসছিল। হাতে যতটা পারি উইকেট রাখতে চেয়েছিলাম। রিচার কথা আলাদা করে বলব। খুব গুরুত্বপূর্ণ ৩০টা রান করেছে।”
আপাতত ছন্দ ধরে রাখাই লক্ষ্য হরমনপ্রীতের। বলেছেন, “এই মুহূর্তে খুশি। এই ছন্দটাই ধরে রাখতে চাই ভারতে ফিরে। আমরা জানি ওখানকার পিচ কী রকম। দল নিয়ে ভাবনাচিন্তা তার পরে করব।”
পাকিস্তানের অধিনায়ক ফাতিমা দুষলেন বোলিংকে। বললেন, “আমরা পাওয়ার প্লে-তে অনেক রান দিয়ে ফেলেছি। অতিরিক্ত রানও দিয়েছি। ডেথ ওভারেও একই জিনিস হয়েছে। মনে হচ্ছে ২০০-র মধ্যে ওদের আটকে রাখতে পারলে ভাল হত।”
ব্যাটিং বিভাগও যে চিন্তার কারণ, সেটাও মেনে নিয়েছেন তিনি। বলেছেন, “আমরা বিশেষজ্ঞ ব্যাটারদের নিয়ে টপ এবং মিডল অর্ডার তৈরি করেছি। ওদের আরও ভাল ভাবে এগিয়ে আসতে হবে। আরও স্বাধীনতা নিয়ে খেলতে হবে। লম্বা জুটি গড়তে হবে। সবার আগে পরিস্থিতি, পিচ ভাল করে বুঝতে হবে।”
তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা ভারতের ক্রান্তি গৌড়। তিনি বলেছেন, “আমি খবর পেয়েছি গ্রামের সমস্ত লোক খেলা দেখছে। শুনেছি ওরা নাকি বড় পর্দা লাগিয়েছে। ওদের জন্য সবচেয়ে বেশি খুশি। বিশ্বকাপের ম্যাচে সেরার পুরস্কার পেয়েছি এটাই সবচেয়ে আনন্দ দিচ্ছে।”