রবিবারের ম্যাচের আগে টসের সময়। (বাঁ দিকে) সলমন আঘা এবং সূর্যকুমার যাদব (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
হ্যান্ডশেক বিতর্কে ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের পর পাইক্রফ্টের অপসারণ দাবি করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থাকে (আইসিসি) চিঠি দিয়েছিল পাক বোর্ড। পিসিবির সেই চিঠি প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ‘ডন’।
আইসিসিকে দেওয়া চিঠিতে কী লিখেছিল পিসিবি? চিঠির সুর ছিল পাইক্রফ্টের বিরুদ্ধেই। পিসিবি চিঠিতে লেখে, ‘‘আইসিসি নিযুক্ত নিরপেক্ষ ম্যাচ রেফারি যে আচরণ করেছেন, তাতে ক্রিকেটের স্পিরিট এবং এমসিসির আইন লঙ্ঘিত হয়েছে। ম্যাচ রেফারি তাঁর দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন। দুই অধিনায়ক এবং দু’দলের মধ্যে পারস্পরিক সম্মান বজায় রাখার বিষয়টি তিনি নিশ্চিত করতে পারেননি। ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করা এবং অধিনায়ক, খেলোয়াড়দের তা বজায় রাখতে উৎসাহিত করতে পারেননি। দুই দলের অধিনায়ককে ম্যাচ রেফারি যে নির্দেশ দিয়েছিলেন, তাতে সম্পূর্ণ বিপরীত পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। এর ফলে ম্যাচ অফিসিয়ালদের জন্য নির্দিষ্ট আইসিসির আদর্শ আচরণবিধির ২ নম্বর ধারা লঙ্ঘিত হয়েছে। বিশেষ করে ম্যাচ রেফারির এমন আচরণ অপরাধের সমান। তাঁর আচরণ ক্রিকেটের স্পিরিট এবং এমসিসির আইনের পরিপন্থী।’’
ওই চিঠিতে পিসিবি আরও লিখেছে, ‘‘এই ধরনের অসদাচরণ খেলার কলঙ্ক। রাজনৈতিক পটভূমি বা প্রকৃতি বিবেচনা করে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এর প্রতিক্রিয়া এবং পরিণতি সুদূরপ্রসারী হতে পারে। আমরা বিশ্বাস করি সর্বোচ্চ পর্যায়ের অপরাধ সংগঠিত হয়েছে।’’
ভারতীয় দল বা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) বিরুদ্ধে কিছু লেখেননি পাকিস্তানের ক্রিকেট কর্তারা। তাঁদের সব অভিযোগ পাইক্রফ্টের বিরুদ্ধে। ম্যাচ রেফারির জন্যই ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে ক্রিকেটের ঐতিহ্য, রীতি নষ্ট হয়েছে বলে দাবি পিসিবি কর্তাদের। আইসিসি কর্তারা অবশ্য পাইক্রফ্টের বিরুদ্ধে পিসিবির অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন। পাকিস্তানের দাবি মতো পাইক্রফ্টকে এশিয়া কাপের দায়িত্ব থেকেও সরানো হয়নি।