Jemimah Rodrigues

জেমাইমার ১২৭ রানের ইনিংসের নেপথ্যে অন্য খেলা! নিজেদের মাঠে কাউকে ‘দিদিগিরি’ করতে দিতে চাননি

বিশ্বের অনেক ক্রিকেটারই একাধিক খেলার সঙ্গে যুক্ত। তেমনই জেমাইমা রদ্রিগেজও ক্রিকেটের পাশাপাশি হকি খেলেন। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচ জেতানো শতরানের ইনিংস খেলে তিনি কৃতিত্ব দিয়েছেন হকিকে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২৫ ১২:২৮
Share:

জেমাইমা রদ্রিগেজ়। ছবি: পিটিআই।

দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন ক্রিকেটার জন্টি রোডস দেশের হয়ে হকি খেলেছেন। এ বারের মহিলাদের এক দিনের বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে নজর কাড়া নাদিন ডি ক্লার্কেরও প্রথম পছন্দ হকি। জেমাইমা রদ্রিগেজ়ের সেমিফাইনাল জেতানো শতরানের নেপথ্যেও রয়েছে হকি! ভারতীয় ব্যাটার নিজেই জানিয়েছেন সে কথা।

Advertisement

বৃহস্পতিবার ম্যাচের পর ১২৭ রানের অপরাজিত ইনিংস নিয়ে জেমাইমা বলেছেন, ‘‘এই ইনিংসের নেপথ্যে রয়েছে আমার একাধিক খেলা খেলার অভ্যাস। হকি খেলে ফিটনেসের ব্যাপারে খুব উপকৃত হয়েছি। হকি খেলার সময় প্রচুর দৌড়োতে হয়। হাতের কব্জির ব্যবহারও প্রচুর হকিতে। তাতে আমার ব্যাটিংয়ের অনেক উপকার হয়েছে। বিভিন্ন খেলা খেলার আর একটা সুবিধা হল, মানসিক ভাবে শক্ত হতে শেখা। বিভিন্ন খেলার দর্শক, পরিবেশ আলাদা। সব ধরনের পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার অভ্যাস তৈরি হয়ে যায়। ক্রিকেট মাঠের পরিবেশ আলাদা। অন্য খেলাতেও চাপ থাকে। লড়াই হয়। ফলে বিভিন্ন ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলার প্রশিক্ষণও হয়ে যায়। মানসিক ভাবে শক্ত হতেও সাহায্য করে বিভিন্ন পরিবেশ।’’ উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্রের অনূর্ধ্ব-১৭ হকি দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন জেমাইমা।

বৃহস্পতিবার ম্যাচের পর ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) জেমাইমার একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছে সমাজমাধ্যমে। তাতে রয়েছে ভারতীয় ব্যাটারের ছোট্ট বক্তব্য। ম্যাচের আগে ভারতীয় সাজঘরের মেজাজ কেমন ছিল, তা জানিয়েছেন তিনি। দেশকে বিশ্বকাপের ফাইনালে তুলে জেমাইমা বলেছেন, ‘‘সাজঘরে আমাদের আলোচনা হয়েছিল। এই মাঠটা আমাদের। অন্য কেউ এসে যা খুশি করবে, এটা হতে দেওয়া যাবে না। আমাদের ঘরের মাঠে আমাদেরই দাপট দেখাতে হবে। সেটাই উচিত। দাপট দেখানোর মতো ভাল ক্রিকেট খেলতে হবে।’’ জেমাইমা বুঝিয়ে দিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠতে ভারতীয় দলের সকলে বদ্ধপরিকর ছিলেন। নিজেদের চেনা ২২ গজে অন্য কারও ‘দিদিগিরি’ মানতে রাজি ছিলেন না কেউ।

Advertisement

অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমেছিলেন জেমাইমা। ২২ গজের এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন ম্যাচের শেষ পর্যন্ত। ঠান্ডা মাথায় ব্যাট করেছেন। ফিল্ডিংয়ের ফাঁক খুঁজে শট খেলেছেন। খুচরো রান নিয়ে স্কোর বোর্ড সচল রেখেছেন। আলগা বল পেলে মাঠের বাইরে পাঠাতেও দু’বার ভাবেননি। দলকে জয় এনে দেওয়ার পর আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। মাঠে কেঁদে ফেলেন জেমাইমা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement