Pondicherry Cricket

ব্যাট দিয়ে কোচকে মার, কপালে ২০টি সেলাই, পলাতক অভিযুক্ত তিন ক্রিকেটার, কড়া ব্যবস্থার আশ্বাস ভারতীয় বোর্ডের

দলে সুযোগ পাচ্ছেন না বলে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচকে ব্যাট দিয়ে মারধর করলেন তিন ক্রিকেটার। কপালে ২০টি সেলাই পড়েছে ওই কোচের। থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ ১২:২৯
Share:

শিক্ষার্থীদের হাতে আক্রান্ত ক্রিকেট কোচ। — প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

পক্ষপাতিত্বের কারণে দলে সুযোগ পাচ্ছেন না। অভিযোগ, সেই রাগে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ এস বেঙ্কটরামনকে ব্যাট দিয়ে মারধর করলেন তিন ক্রিকেটার। এতটাই আঘাত পেয়েছেন ওই কোচ যে, মাথায় ২০টি সেলাই পড়েছে তাঁর। আঘাত পেয়েছেন শরীরের অন্যান্য অংশেও। থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। তিন ক্রিকেটারই পলাতক। বোর্ড জানিয়েছে, তারা কড়া ব্যবস্থা নেবে।

Advertisement

ঘটনাটিতে ঘটেছে ৮ ডিসেম্বর পণ্ডীচেরী ক্রিকেট সংস্থার (সিএপি) কমপ্লেক্সে। ঘটনাচক্রে, তার পর দিনই ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ সংবাদপত্রে একাধিক তদন্তমূলক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। কী ভাবে অর্থের বিনিময়ে স্থানীয় ক্রিকেটারদের বাদ দিয়ে ভিন্‌রাজ্যের ক্রিকেটারদের খেলানো হচ্ছে পণ্ডীচেরীর হয়ে, তা তুলে ধরা হয়েছে। তার জন্য ভুয়ো আধার কার্ড তৈরি করা হয়েছে। রাজ্য সংস্থার কর্তা থেকে ব্যবসায়ী, বিভিন্ন মানুষ প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িয়ে এই কাজে। সবই চলেছে বোর্ডের নাকের ডগায়।

স্থানীয় সেদরাপেট থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন বেঙ্কটরামন। সাব-ইনস্পেক্টর এস রাজেশ বলেছেন, “বেঙ্কটরামনের কপালে ২০টি সেলাই পড়েছে। এখন স্থিতিশীল। তিন ক্রিকেটারই পালিয়েছে। আমরা ওদের খোঁজার চেষ্টা করছি।”

Advertisement

তদন্তমূলক প্রতিবেদন প্রকাশের আগেই এই ঘটনা ঘটেছে। থানায় করা অভিযোগে বেঙ্কটরামন জানিয়েছেন, ৮ ডিসেম্বর সকাল ১১টা নাগাদ তিনি সিএপি কমপ্লেক্সের ইন্ডোর নেটে ছিলেন। অভিযোগ, তখন তিন ক্রিকেটার কার্তিকেয়ন, অরবিন্দরাজ এবং সন্তোষ কুমার এসে তাঁকে গালিগালাজ করতে থাকেন। সৈয়দ মুস্তাক আলি প্রতিযোগিতায় ওই তিন ক্রিকেটারের বাদ পড়ার নেপথ্যে বেঙ্কটরামনকেই দায়ী করেন। অরবিন্দরাজ হঠাৎ বেঙ্কটরামনকে চেপে ধরেন বলে অভিযোগ। সন্তোষের নিয়ে আসা ব্যাট হাতে নিয়ে কার্তিকেয়ন নাকি কোচকে মারধোর করেন। খুনও করতে চেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন বেঙ্কটরামন।

বেঙ্কটরামনের অভিযোগ ভারতীদাসন পণ্ডীচেরী ক্রিকেটার্স ফোরামের সচিব জি চন্দ্রনের দিকে। চন্দ্রনের নির্দেশেই তাঁকে আক্রমণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ বেঙ্কটরামনের। ফোরামের সভাপতি সেন্থিল কুমারন সব অভিযোগ উড়িয়ে বলেছেন, “বেঙ্কটরামনের বিরুদ্ধেই একাধিক অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় ক্রিকেটারদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন উনি। অশ্লীল ভাষায় কথা বলেন। চন্দ্রনের বিরুদ্ধে ওঁর বিদ্বেষ রয়েছে। সকলেই তা জানেন। কারণ গত সাত বছরে চন্দ্রন ওঁর কাজকর্ম নিয়ে বার বার অভিযোগ করেছেন সিএপি এবং বিসিসিআইয়ের কাছে।”

বোর্ড সভাপতি দেবজিৎ শইকীয়া বলেছেন, “সংবাদ প্রতিবেদনে গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ তোলা হয়েছে। বোর্ড দ্রুত সেগুলি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement