চোট পাওয়ার দিন পন্থ। — ফাইল চিত্র।
লর্ডস টেস্টে আঙুলে চোট পেয়েছিলেন ঋষভ পন্থ। ম্যাঞ্চেস্টারে তিনি খেলতে পারবেন কি না তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছিল। শোনা যাচ্ছিল তাঁকে উইকেটকিপিং করতে দেওয়া হবে না। সে সব না শুনেই মাঠে নেমেছিলেন পন্থ। ম্যাঞ্চেস্টারে খেলতে নামার আগেই রবি শাস্ত্রীকে বলেছিলেন, ভাঙা আঙুল নিয়েই খেলতে নামবেন।
পন্থের দায়বদ্ধতা কতটা, তা এই একটি বাক্যেই বুঝিয়ে দিয়েছেন শাস্ত্রী। আঙুলের চোট সারলেও বুধবার ম্যাঞ্চেস্টার টেস্টের প্রথম দিনই পন্থের পায়ে আঘাত লেগেছিল। পরের দিন জানা গিয়েছিল হাড় ভেঙেছে। এই টেস্টে খেলাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। সেই পন্থ ভাঙা পা নিয়ে বৃহস্পতিবার দলের স্বার্থে ব্যাট করতে নেমেছিলেন।
ভারতীয় বোর্ডের পোস্ট করা এক ভিডিয়োয় পন্থের ইনিংসের প্রশংসা করেছেন শাস্ত্রী। বলেছেন, “এই টেস্টের আগে ওকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, ‘তোমার আঙুল কেমন আছে? ভেঙে গিয়েছে? খেলতে পারবে এই টেস্টে’? পন্থ বলেছিল, ‘অবশ্যই খেলব। যদি আঙুল ভেঙে যেত তা হলেও খেলতাম’।”
পন্থের প্রশংসা করতে গিয়ে এখানেই থামাননি শাস্ত্রী। আরও বলেছেন, “ও যা করেছে তার জন্য কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয়। কখনও সখনও অনুপ্রেরণা অন্য উচ্চতায় পৌঁছে যায়। আজ দলের জন্য যা করেছে তাতে যদি বাকিরা চাঙ্গা না হয় তা হলে কোনও কিছুতেই হতে পারবে না। মাঠে আসা-যাওয়ার সময় সবাই পন্থকে উঠে দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানিয়েছে। ইংল্যান্ড দলের প্রত্যেকে হাততালি দিয়েছে। এর জন্যই তো বেঁচে থাকা। এগুলোই মানুষকে নায়ক বানিয়ে তোলে।”
শাস্ত্রীর সুরে সুর মিলিয়েছেন দীনেশ কার্তিকও। তাঁর মতে, হার-না-মানা মানসিকতার আর এক নাম পন্থ। কার্তিকের কথায়, “আসলে ইংল্যান্ডও পন্থকে ভালবাসে। পন্থ ভালই জানত মাঠে নেমে ওই ১৬-১৮ দলের কাজে লাগবে। খেলাধুলোয় কিছু কিছু মুহূর্ত থাকে যা সারাজীবন মনে থেকে যায়। পন্থের এই ইনিংসটাও সে রকমই মনে থেকে যাবে।”