(বাঁ দিকে) গীতা বসরার সঙ্গে হরভজন সিংহ (ডান দিকে)। ছবি: এক্স।
গীতা বসরার সঙ্গে হরভজন সিংহের আলাপ ২০০৭ সালে। ইংল্যান্ড সফরে গিয়েছিল ভারতীয় দল। এক বন্ধুর দেওয়া পার্টিতে গিয়ে গীতার সঙ্গে আলাপ হয় হরভজনের। তাঁদের সম্পর্কের শুরু এক বছর পরে ২০০৮ সালে ভারতীয় দলের শ্রীলঙ্কা সফরের সময়।
প্রথম দিকে মোবাইলে ফোন এলেও বিল উঠত। টাকা বাঁচিয়ে বার্তা পৌঁছে দেওয়ার কৌশল ছিল ‘মিসড কল’। হরভজন-গীতার সম্পর্ক শুরু সেই জমানার পর। তবু ২৭ হাজার টাকার একটা ফোন কলই ক্রিকেটার এবং বলিউড অভিনেত্রীকে কাছাকাছি এনেছিল।
প্রথম আলাপের দিনই দু’জনে ফোন নম্বর দেওয়া-নেওয়া সেরে ফেলেছিলেন। তখন শুধুই বন্ধুর বন্ধু হিসাবে পরিচয়। প্রথম দিকে মাঝেমধ্যে কথা হত। মেসেজ চালাচালি হত। ক্রমশ ফোনে তাঁদের কথা বলার সময় বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। পরস্পরের প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়। ২০০৮-এ শ্রীলঙ্কা সফরে সিরিজ় জয়ের অন্যতম নায়ক ছিলেন হরভজন। সতীর্থেরা যখন উচ্ছ্বাসে মেতেছিলেন, সে সময় হরভজন ফোন করেন গীতাকে। ভাল লেগে যাওয়া বন্ধুর সঙ্গে আনন্দের মুহূর্ত ভাগ করে নিতে চেয়েছিলেন প্রাক্তন অফ স্পিনার। বলিউড অভিনেত্রী তখন ছিলেন লন্ডনে। দীর্ঘ সময় কথা হয় দু’জনের। কথায় কথায় সম্পর্কের দিকে পা বাড়ান তাঁরা। কলম্বো-লন্ডন, সেই ফোনের বিল উঠেছিল প্রায় ২৭ হাজার টাকা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে হরভজন নিজেই সেই ফোনের কথা জানিয়েছেন।
কয়েক বছর প্রেমের পর ২০১৫ সালের ২৯ অক্টোবর হরভজন এবং গীতার বিয়ে হয়। পঞ্জাবের রীতি অনুযায়ী হয় অনুষ্ঠান। গীতা এখন চলচ্চিত্র জগত থেকে দূরে। অবসর নেওয়ার পর হরভজনকে দেখা যায় ধারাভাষ্যকার হিসাবে। রাজনীতিতেও যোগ দিয়েছেন তিনি।