বিতর্কের সেই মুহূর্ত। স্টোকসের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান জাডেজার (বাঁ দিকে)। ছবি: সমাজমাধ্যম।
ইংল্যান্ড সিরিজ়ে ভারতের প্রধান বোলার হিসাবে উঠে এসেছেন মহম্মদ সিরাজ। জসপ্রীত বুমরাহকে ছাপিয়ে ভারতের সেরা বোলার হয়েছেন। সর্বোচ্চ উইকেটও নিয়েছেন সিরিজ়ে। এত কিছুর পরেও সিরাজ হয়তো তাঁর প্রাপ্য সম্মান পান না। এমনই মন্তব্য করেছেন সচিন তেন্ডুলকর। ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার মুখ খুলেছেন ম্যাঞ্চেস্টারের ‘হ্যান্ডশেক’ বিতর্ক নিয়েও।
ইংল্যান্ড সিরিজ়ের পাঁচটি টেস্টেই খেলেছেন সিরাজ। ১৮৫.১ ওভার বল করেছেন। সিরাজের পরিশ্রমে মুগ্ধ সচিন। ‘রেড্ডিট’-এ ভিডিয়ো বার্তায় বলেছেন, “অবিশ্বাস্য। দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। ওর মানসিকতা আমার ভাল লাগে। ওর পায়ে যে স্প্রিং লাগানো আছে সেটা ভাল লাগে। জোরে বোলারেরা যদি মুখের উপর জবাব দেয়, সেটা কোনও ব্যাটারেরই ভাল লাগে না। সিরিজ়ের শেষ দিন পর্যন্ত সিরাজ সেটা বজায় রেখেছিল। ধারাভাষ্যকারেরা বলছিলেন শেষ দিনেও ও নাকি ঘণ্টায় ১৪৫ কিলোমিটার বেগে বল করেছে। তা-ও আবার সিরিজ়ে ১০০০-এর উপর বল করা সত্ত্বেও। এতেই ওর সাহস এবং সিংহ হৃদয়ের প্রমাণ পাওয়া যায়।”
সচিন আরও বলেছেন, “শেষ দিনের শুরুটা মনে রাখার মতো ছিল। দলের দরকারের সময় বার বার এগিয়ে এসেছে সিরাজ। প্রতিপক্ষকে ধাক্কা দিয়েছে। অতীতেও ধারাবাহিক ভাবে একই কাজ করেছে। এই সিরিজ়েও সেটা দেখতে পেলাম।”
ম্যাঞ্চেস্টারে রবীন্দ্র জাডেজা এবং ওয়াশিংটন সুন্দরকে শতরান থেকে বঞ্চিত করতে আগেভাগেই ম্যাচ ড্রয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন ইংরেজ অধিনায়ক বেন স্টোকস। এই আচরণের নিন্দা করেছেন সচিন। বলেছেন, “লোকে বলছে ওয়াশিংটন এবং জাডেজা নাকি ক্রিকেটীয় সংস্কৃতি না মেনেই শতরান করেছে। কেন করবে না? ওরা ড্রয়ের জন্যই খেলছিল। তার আগে তো ইংল্যান্ড ওদের উদ্দেশে অনেক কথা বলেছে।”
সচিনের সংযোজন, “সিরিজ় বেঁচেছিল। তাই খেলা চালিয়ে গিয়ে ভারত কোনও ভুল করেনি। ইংল্যান্ডের বোলার এবং ফিল্ডারদের বিশ্রাম দেওয়ার দায়িত্ব ভারতের নয়। ওরা হ্যারি ব্রুককে দিয়ে বল করাল, সেটা স্টোকসের সিদ্ধান্ত। ভারত এ নিয়ে মাথা ঘামাবে কেন?”
শুধু এটাই নয়, হেয় করা হচ্ছে বুমরাহকেও। তিনি যে দুটো টেস্টে খেলেননি সেই দুটো টেস্টে ভারত জিতেছে। তবে এটাকে কাকতালীয় বলেই ভাবতে রাজি সচিন। বলেছেন, “বুমরাহ প্রথম টেস্টেই পাঁচ উইকেট নিয়েছিল। দ্বিতীয়টায় খেলেনি। তৃতীয় এবং চতুর্থ টেস্টে খেলেছে। যে তিনটে টেস্ট খেলেছে তার মধ্যে দু’বার ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিয়েছে। বুমরাহের প্রতিভা নিয়ে কোনও সন্দেহ থাকাই উচিত নয়। আজ পর্যন্ত যা করেছে তা অবিশ্বাস্য।”