Shardul Thakur

বিদ্রোহী শার্দূল! নাম না করে তোপ গম্ভীর এবং ভারতীয় বোর্ডকে, ‘ক্রিকেটারদের শরীরের খেয়ালই রাখা হয় না’

দলীপ ট্রফিতে বোর্ডের নির্দেশে ভারতের প্রথম সারির একাধিক ক্রিকেটারকে অংশ নিতে হয়েছে। শার্দূল ঠাকুরের অভিযোগ, ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার জন্য বার বার নির্দেশ দিলেও বোর্ড খেয়াল রাখে না তার ক্রিকেটারদেরই।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৮:৩৮
Share:

শার্দূল ঠাকুর। ছবি: পিটিআই।

গৌতম গম্ভীর বলছেন, সুযোগ পেলেই ঘরোয়া ক্রিকেটের ম্যাচ খেলতে হবে সকলকে। বিশ্রামের কোনও জায়গা নেই। কোচের ফতোয়া কার্যকর করতে তৎপর ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডও। কিন্তু কারোরই নাম না করে ভারতীয় ক্রিকেটে নতুন চালু হওয়া এই প্রথার সমালোচনা করলেন শার্দূল ঠাকুর।

Advertisement

দলীপ ট্রফি দিয়ে শুরু হয়েছে ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটের মরসুম। বোর্ডের নির্দেশে ভারতের প্রথম সারির একাধিক ক্রিকেটারকে অংশ নিতে হয়েছে। শার্দূলের অভিযোগ, ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার জন্য বার বার নির্দেশ দিলেও বোর্ড খেয়াল রাখে না তাঁর ক্রিকেটারদেরই। কার্যত বিদ্রোহী হয়ে উঠেছেন তিনি।

দলীপে পশ্চিমাঞ্চলের নেতা শার্দূল। তাঁর মতে, ক্রিকেটারদের শারীরিক অবস্থাকে খুবই হালকা ভাবে নেওয়া হয়। আধুনিক ক্রিকেটে সারা বছর খেলে যেতে হলে শরীরের খেয়াল রাখা যে কোনও ক্রিকেটারের কাছেই চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন তিনি।

Advertisement

দলীপ থেকে বিদায় নেওয়ার পর শার্দূল বলেছেন, “অনেক সময়েই ক্রিকেটারদের শারীরিক অবস্থাকে হালকা ভাবে নেওয়া হয়। ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টও সর্বোচ্চ মানের নয়। কেউ এসে আমাদের এক বারের জন্যও জিজ্ঞেস করে না, আমাদের শরীরের অবস্থা কীরকম। আমি চেষ্টা করি নিজেকে প্রতিনিয়ত ফিট রাখতে। ফিজিয়ো এবং স্ট্রেংথ ও কন্ডিশনিং কোচের সঙ্গে নিয়মিত কাজ করি।”

শার্দূলের সংযোজন, “আমি বলছি না যে শরীরকে বিশ্রাম দেওয়ার জন্য একের পর এক ম্যাচ থেকে নাম তুলে নেব। কিন্তু মাঝেমধ্যে বিশ্রাম পেলে সেটা শরীরের জন্যই ভাল।” উল্লেখ্য, শার্দূল ছাড়াও প্রথম সারির ক্রিকেটারদের মধ্যে যশস্বী জয়সওয়াল, ধ্রুব জুরেল, শ্রেয়স আয়ারেরা দলীপে খেলেছেন।

শার্দূল টানা ক্রিকেট খেলে চলেছেন। ইংল্যান্ড সিরিজ়ে খেলেছেন। তার আগে আইপিএলে খেলেছেন। তারও আগে ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রায় প্রতিটি প্রতিযোগিতায় খেলেছেন। তাঁর মতে, ওয়ার্কলোডের বিষয়ে ক্রিকেটারদেরই সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা দেওয়া উচিত।

তিনি বলেছেন, “ম্যাচ খেলতে নামলে ওয়ার্কলোডের কথা মাথায় রাখলে চলে না। নিজের সেরাটা দেওয়াই তখন মুখ্য হয়ে দাঁড়ায়। নিজের মধ্যে যা আছে তার সবটা উজাড় করে দিই আমরা। ম্যাচের পর বাড়ি ফিরে গেলে এবং দুটো ম্যাচের মাঝে যথেষ্ট ব্যবধান থাকলে শরীরকে বিশ্রাম দেওয়ার সময় পাওয়া যায়।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement