India vs England 2025

কথা শোনেননি শুভমন, মাঠে অধিনায়ককেই উল্টে ধমক দিয়েছিলেন সিরাজ! কী হয়েছিল ওভাল টেস্টের শেষ দিন?

ওভালে ইংল্যান্ডকে অলআউট করার জন্য মরিয়া ছিলেন মহম্মদ সিরাজ। প্রতিটি বল করছিলেন নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করে। একটি ক্ষেত্রে তাঁর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হয় অধিনায়ক শুভমন গিলের। তাতে রেগে যান জোরে বোলার।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০২৫ ১৭:২৪
Share:

(বাঁ দিকে) শুভমন গিলকে ধমক দেওয়ার সেই মুহূর্তে মহম্মদ সিরাজ (ডান দিকে)। ছবি: এক্স।

ওভাল টেস্টের শেষ দিন ছিল টান টান উত্তেজনা। ভারত-ইংল্যান্ড দু’দলেরই জয়ের সুযোগ ছিল। জয় ছিনিয়ে নিতে প্রতিটি বল পরিকল্পনা মতো করছিলেন মহম্মদ সিরাজ। সেই মতো ফিল্ডারদের নির্দেশ দিচ্ছিলেন অধিনায়ক শুভমন গিল। একটি ক্ষেত্রে দু’জনের মধ্যে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি হয়ে যায়। তাতে ক্ষুব্ধ সিরাজ মাঠেই ধমক দেন অধিনায়ককে।

Advertisement

ওভালে জয়ের জন্য শেষ দিন ভারতের দরকার ছিল ৪ উইকেট। অন্য দিকে, ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ৩৫ রান। ইংল্যান্ডের ৯ উইকেট পড়ে যাওয়ার পরও চাপে ছিল ভারতীয় দল। কাঁধের গুরুতর চোট নিয়েই ব্যাট হাতে নেমে পড়েছিলেন ক্রিস ওকস। ২২ গজের অন্য প্রান্তে ছিলেন গাস অ্যাটকিনসন। তিনিই মূলত সে সময় ব্যাট করছিলেন। আহত ওকসকে ভারতীয় বোলারদের সামনে ফেলতে চাইছিলেন না। ইংল্যান্ডের ইনিংসের ৮৪তম ওভারের শেষ বলে অ্যাটকিনসন যাতে কোনও রান নিতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন সিরাজ। তা হলে পরের ওভারে আহত ওকসকে পেয়ে যেত ভারতীয় দল। সেই মতো পরিকল্পনা করেন। শুভমনকে জানান। উইকেটরক্ষক ধ্রুব জুরেলকে বিশেষ একটি কথা বলে দেওয়ার জন্যও বলেন। কিন্তু শুভমন সময় মতো জুরেলকে নির্দেশ দিতে পারেননি। ফলে পরিকল্পনা ভেস্তে যায় সিরাজের। তাতেই রেগে গিয়ে মাঠেই অধিনায়ককে ধমক দেন।

কী ঘটেছিল ঠিক? জানিয়েছেন শুভমনই। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় শুভমন বলেছেন, ‘‘সিরাজ ভাই আমাকে বলেছিল, জুরেলকে বলতে কিপিং গ্লাভস খুলে ফেলতে। যাতে সহজে রান আউট করতে পারে। আমি জুরেলকে বলতে একটু দেরি করে ফেলেছিলাম। সিরাজ ভাই বল করার জন্য দৌড়তে শুরু করার পর জুরেলকে গ্লাভস খুলতে বলি। তখন আর জুরেলের পক্ষে গ্লাভস খোলা সম্ভব হয়নি। ফলে আমরা রান আউটের সুযোগ পেয়েও নষ্ট করেছিলাম। তা দেখেই সিরাজ ভাই আমায় বলে, ‘তুই কেন বলিসনি ওকে?’’’

Advertisement

কী পরিকল্পনা ছিল সিরাজের? শুভমন জানিয়েছেন, ৮৪তম ওভারের শেষ বলে যাতে কোনও রান না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন সিরাজ। অ্যাটকিনসনকে ওয়াইড ইয়র্কার করতে চেয়েছিলেন সিরাজ। যাতে বড় শট নিতে না পারে। সিরাজের বিশ্বাস ছিল, বল ব্যাটে না লাগলেও পিচের প্রান্ত পরিবর্তন করার জন্য মরিয়া হয়ে দৌড়বেন অ্যাটকিনসন। আহত ওকস দ্রুত দৌড়তে পারবেন না। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে রানআউট করা সহজ হবে।

সিরাজ পরিকল্পনা মতোই ওয়াইড ইয়র্কার করেন। শট মারতে পারেননি অ্যাটকিনসন। খুচরো রান নেওয়ার জন্য দৌড়তে শুরু করেন। জুরেল বল ধরলেও হাতে কিপিং গ্লাভস থাকায় ঠিক মতো ছুড়তে পারেননি। ফলে উইকেটেও লাগেনি। বেঁচে যান ওকস। রিপ্লেতে দেখা গিয়েছিল, জুরেলের ছোড়া বল উইকেট পেরিয়ে যাওয়ার সময় ওকস ক্রিজ় থেকে প্রায় চার ফুট মতো দূরে ছিলেন। আউট করার সুযোগ নষ্ট হওয়ায় হতাশ এবং বিরক্ত দেখিয়েছিল সিরাজকে। যে ঘটনায় হতাশ হয়েছিলেন ক্রিকেটপ্রেমীরাও। তখনই অধিনায়ককে ধমক দিয়েছিলেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement