শুভমন গিল। ছবি: সমাজমাধ্যম।
বুধবারই গোটা দলের সঙ্গে গুয়াহাটি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শুভমন গিল। দ্বিতীয় টেস্টে তাঁর খেলার সম্ভাবনা এখনও আছে, জানিয়ে দিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।
বুধবার দুপুর ১২.৩৫ মিনিটে শুভমনের স্বাস্থ্য নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বোর্ড। তারা জানিয়েছে, ইডেনে দ্বিতীয় দিনের খেলাশেষে শুভমনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। পরের দিনই তিনি ছাড়া পান। যে চিকিৎসা তাঁকে দেওয়া হয়েছে তাতে ভাল ভাবেই সাড়া দিয়েছেন শুভমন। তাই ১৯ নভেম্বর দলের সঙ্গেই তিনি গুয়াহাটি যাবেন।
দ্বিতীয় টেস্টে শুভমনের খেলা নিয়ে বোর্ড জানিয়েছে, চিকিৎসকেরা নিয়মিত শুভমনের ঘাড়ের চোটের খেয়াল রাখবেন। তার উপর ভিত্তি করেই ঠিক করা হবে তিনি দ্বিতীয় টেস্টে খেলবেন কি না। অর্থাৎ এখনও দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে যাননি ভারত অধিনায়ক।
বোর্ড সূত্রে জানা গিয়েছিল, শনিবার ঘুম থেকে ওঠার পরেই শুভমন ঘাড়ে ব্যথা অনুভব করেন। তার জন্য তিনি ব্যথা কমানোর ওষুধ খেয়েছিলেন। তাতেও লাভ হয়নি। ব্যাট করতে নামার আগেও তিনি ব্যথা কমানোর ওষুধ খেয়েছিলেন। নিজের তৃতীয় বলে সাইমন হারমারকে স্লগ সুইপ মারতে গিয়ে ঘাড়ে আবার ব্যথা শুরু হয়েছিল শুভমনের। সঙ্গে সঙ্গে মাঠে চলে এসেছিলেন ফিজিয়ো। পরীক্ষা করার পর শুভমনকে মাঠের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। মাত্র তিন বল ক্রিজ়ে ছিলেন শুভমন। সমস্যা এতটাই যে, ঘাড় ঘোরাতেই পারছিলেন না তিনি। মেরুদণ্ডেও সমস্যা রয়েছে বলে জানা গিয়েছিল।
হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর এমআরআই হয়েছিল শুভমনের। সেখানেও ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়ার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল। এক বছর আগে এমনই একটি চোট পেয়েছিলেন শুভমন। তখনও এমআরআই করানো হয়েছিল। তখনকার এবং এখনকার এমআরআই-এর ফলাফলের মধ্যে মিল রয়েছে।
রবিবার সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয়েছিল শুভমনকে। টিম হোটেলে ফিরে গিয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড সূত্রে খবর, রবিবার হাসপাতালের বিছানায় শুয়েই দলের হার দেখেছিলেন শুভমন। ভারত যে ভাবে ইডেন গার্ডেন্সে আড়াই দিনে টেস্ট হেরেছে তাতে মনমরা তিনি। শুভমন হয়তো ভাবছিলেন, তিনি থাকলে খেলার ফল অন্য হতে পারত। কারণ, দুই ইনিংসেই ১০ জনে ব্যাট করতে হয়েছে ভারতকে। সেই কারণে দলের হারে আরও কষ্ট হয়েছে অধিনায়কের।
রবিবার খেলাশেষে উডল্যান্ডস হাসপাতালে শুভমনকে দেখতে গিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বাংলার ক্রিকেট সংস্থার সভাপতি প্রথমে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে শুভমনের সঙ্গে ১০-১৫ মিনিট কথা হয় তাঁর। বাংলার ক্রীড়া সংস্থা সূত্রে খবর ছিল, সৌরভকে শুভমন জানিয়েছেন, হাসপাতালে দমবন্ধ লাগছে তাঁর। এই কঠিন সময়ে দলের সঙ্গে থাকতে চান তিনি। তাই তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয়েছিল।