মহম্মদ শামি। —ফাইল চিত্র।
আইপিএলের প্লে-অফের খেলার এখনও সুযোগ রয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের। বাকি সব ম্যাচ জিততে হবে প্যাট কামিন্সদের। গুরুত্বপূর্ণ এই সময় দলের জন্য নিজেকে উজাড় করে দিতে চান মহম্মদ শামি। যদিও সোমবার দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ম্যাচে সুযোগ পাননি বাংলার জোরে বোলার।
২০২৩ সালের এক দিনের বিশ্বকাপের সময় চোট পেয়েছিলেন শামি। তার পর ১৪ মাস তাঁকে ক্রিকেট থেকে দূরে থাকতে হয়েছিল। গত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আবার ফিরেছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। খুব ভাল ফর্মে নেই শামি। আইপিএলে ন’টি ম্যাচ খেলে পেয়েছেন ছ’টি উইকেট। তবে এখন তাঁর ভাবনায় শুধুই আইপিএল এবং হায়দরাবাদ। পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ৪ ওভারে ৭৪ রান দেওয়ার পর কামিন্সেরা যদিও কিছুটা ভরসা হারিয়েছেন শামির উপর। তা নিয়ে অবশ্য উদ্বিগ্ন নন বাংলা জোরে বোলার।
এক সাক্ষাৎকারে শামি বলেছেন, ‘‘চোট জোরে বোলারদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সুস্থ হতে ১৪ মাস সময় লেগেছে। এই পর্বটা সহজ ছিল না। চোট সারার পর ঘরোয়া ক্রিকেটে একাধিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে। ফর্ম এবং সঠিক মানসিকতা ফিরে পাওয়ার বিষয়টা সহজ হয় না বড় চোট থেকে ফেরার পর।’’ চোট সম্পর্কে শামি বলেছেন, ‘‘২০২৩ সালে হঠাৎই আমার ব্যথা শুরু হয়েছিল। হয়তো অতিরিক্ত ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার জন্যই হয়েছিল। মরসুমের শেষ দিকে ১২-১৩টা ম্যাচ খেলেছিলাম ঘরোয়া ক্রিকেটে। ধকলটা মনে হয় বেশি হয়ে গিয়েছিল। আসলে ইংল্যান্ড সিরিজ় আমাকে দারুণ আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছিল। যে কোনও ম্যাচেই নিজের সেরাটা দেওয়াই লক্ষ্য থাকে আমার।’’
এ বারের আইপিএলে হায়দরাবাদ চাপে থাকলেও শামি এখনও আশাবাদী। তিনি বলেছেন, ‘‘হায়দরাবাদ আমার দৃষ্টিভঙ্গি সম্পূর্ণ বদলে দিয়েছে। আগে ২০০ রানের লক্ষ্যের কথা ভেবে মাঠে নামতাম। এখন ৩০০ রানের লক্ষ্য থাকে মাথায়। হায়দরাবাদ টি-টোয়েন্টির ধারণাটাই বদলে দিয়েছে। আমার ভূমিকার কথা বলতে গেলে বলব, এমন একটা দলের অংশ হতে চাই যারা নতুন মানদণ্ড তৈরি করে এবং মানসিকতা পরিবর্তন করে। আমাদের দলটা বেশ শক্তিশালী। দলের জন্য শুধু নিজের সেরাটা দিতে চাই। আমাদের হায়দরাবাদের বোলিং বিভাগ খুবই শক্তিশালী। বিশেষ করে জোরে বোলিং। আমাদের স্পিনারেরাও দুর্দান্ত। সব মিলিয়ে আমাদের বোলিং বিভাগের দারুণ ভারসাম্য রয়েছে। যারা হায়দরাবাদকে শুধু ব্যাটিং শক্তি দিয়ে বিচার করবে, তারা কিন্তু ভুল করবে।’’
এ বারই সানরাইজার্স হায়দরাবাদে যোগ দিয়েছেন শামি। গত তিন মরসুম তিনি ছিলেন গুজরাত টাইটান্সে। ২০২৩ সালে শামি ছিলেন আইপিএলের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। জিতেছিলেন বেগনি টুপি। ২০২২ সালে গুজরাতের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার নেপথ্যেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বাংলার জোরে বোলারের।