অস্ট্রেলিয়া দল। ছবি: পিটিআই।
একের পর এক সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ়-অস্ট্রেলিয়া টেস্টের তৃতীয় আম্পায়ারকে নিয়ে চর্চা। তাঁর নেওয়া তিনটি সিদ্ধান্তে কখনও সুবিধা পেল অস্ট্রেলিয়া, কখনও ওয়েস্ট ইন্ডিজ়। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে আদ্রিয়ান হোল্ডস্টকের যোগ্যতা নিয়ে।
প্রথম সিদ্ধান্ত
প্রথম দিনে ট্রেভিস হেডকে আউট দেননি হোল্ডস্টক। শামার জোসেফের বল হেডের ব্যাটে লেগে জমা পড়ে উইকেটরক্ষকের হাতে। কিন্তু মাঠের আম্পায়ার বুঝতে পারেননি ক্যাচটি সঠিক ভাবে নেওয়া হয়েছে কি না। তৃতীয় আম্পায়ারের সাহায্য নেওয়া হয়। দেখা যায় বল স্পষ্ট ভাবেই উইকেটরক্ষকের হাতে গিয়েছে। কিন্তু তৃতীয় আম্পায়ারের মনে হয় ক্যাচ নেওয়া হয়েছে কি না, তা বোঝা যাচ্ছে না। তিনি আউট দেননি।
দ্বিতীয় সিদ্ধান্ত
দ্বিতীয় দিনে তৃতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে সুবিধা পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ়। ব্যাট করছিলেন রস্টন চেজ। বল করছিলেন জস হেজলউড। বল চেজের প্যাডে লাগে। মাঠের আম্পায়ার নট আউট দিলে রিভিউ নেয় অস্ট্রেলিয়া। সেখানে দেখা যায় অস্ট্রেলিয়ান পেসারের বল চেজের প্যাডে লেগেছে। ব্যাটে লাগার আগেই স্নিকো মিটারে স্পাইক দেখা যায়। অস্ট্রেলিয়া দল সেটা দেখে আনন্দ করতে শুরু করে দেয়। কিন্তু তৃতীয় আম্পায়ার নট আউটের সিদ্ধান্তই দেন। যা দেখে অবাক হয়ে যান সকলে।
তৃতীয় সিদ্ধান্ত
দ্বিতীয় দিনে আবার একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এ বারেও ব্যাটার ছিলেন চেজ। বল করছিলেন প্যাট কামিন্স। চেজকে ৫০তম ওভারে এলবিডব্লিউ দেন মাঠের আম্পায়ার। কিন্তু রিভিউ নেন ব্যাটার। সেখানে দেখা যায় বল ব্যাটের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় কোনও শব্দ হয়নি। অন্তত স্নিকো মিটারে কোনও স্পাইক ছিল না। কিন্তু বলটি ব্যাটের পাশ দিয়ে যাওয়ার পরেই অনেকটা বেঁকে যায়। খালি চোখেও সেটা দেখা যাচ্ছিল। স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল বল ব্যাটে লেগেছে। কিন্তু তৃতীয় আম্পায়ার তা-ও এলবিডব্লিউ-র সিদ্ধান্তই দেন।
আম্পায়ারের এমন কাণ্ড দেখে অবাক হয়ে যান ধারাভাষ্যকার ইয়ান বিশপও। তিনি বলেন, “আমি এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে। প্রযুক্তি মানি না। সিদ্ধান্তটা চেজের বিপক্ষে গেল। এটা নট আউট দেওয়া উচিত ছিল। আম্পায়ারদের বিরুদ্ধে বলার জন্য ক্ষমা চাইছি। কিন্তু আমি এই সিদ্ধান্ত মানি না। স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে বল বেঁকে যাচ্ছে।”
ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ় প্রথম ইনিংসে ১০ রানে লিড নেয়। দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া ৯২ রান করেছে চার উইকেট হারিয়ে। বড় রান তুলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়কে চাপে ফেলতে চাইবেন কামিন্সেরা।