Wriddhiman Saha

Wriddhiman Saha: তাঁর রাজ্যেই যেতে পারেন ঋদ্ধি, জানালেন এই ক্রিকেট সংস্থার প্রধান

শনিবার বাংলার ক্রিকেট সংস্থার থেকে ছাড়পত্র নিয়েছিলেন ঋদ্ধি। মঙ্গলবার তিনি কোন রাজ্যে যাবেন তা প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেল।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২২ ২১:০৭
Share:

কোন রাজ্যে ঋদ্ধি? —নিজস্ব চিত্র

ঋদ্ধিমান সাহা কোন রাজ্যের হয়ে খেলবেন? এই প্রশ্নের উত্তরের খোঁজ চলছে বেশ কয়েক দিন ধরে। ঋদ্ধি বার বার বলছেন যে, তাঁর সঙ্গে বিভিন্ন রাজ্যের কথা চলছে। বাংলার ক্রিকেট সংস্থা থেকে শনিবার ছাড়পত্র (এনওসি) পেয়ে যান তিনি। সেই দিন জিজ্ঞেস করা হলেও কোনও রাজ্যের নাম নেননি তিনি। মঙ্গলবার যদিও ত্রিপুরার তরফে জানানো হল তাদের হয়েই খেলবেন ঋদ্ধি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ত্রিপুরা ক্রিকেট সংস্থার যুগ্ম-সচিব কিশোর দাস বলেন, “আমরা ঋদ্ধিমান সাহার সঙ্গে কথা বলেছি। ও আমাদের রাজ্যের খেলতে রাজি হয়েছে। সিনিয়র দলের মেন্টর হিসাবেও কাজ করবে ও।” ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে চুক্তিপত্রে সই হয়ে যাবে বলেও জানিয়েছেন কিশোর।

ত্রিপুরার যুগ্ম-সচিবের মতে, ঋদ্ধি খেললে তাঁদের রাজ্যের ক্রিকেটের উন্নতি হবে। ঋদ্ধির অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চাইছে তারা। কিশোর বলেন, “এখনও ঠিক হয়নি ঋদ্ধি দলের অধিনায়ক হবে কি না। সেটা পরে ঠিক করা হবে।” মনে করা হচ্ছে ত্রিপুরার হয়ে রঞ্জি এবং বিজয় হজারে ট্রফিতে খেলতে পারেন ঋদ্ধি।

Advertisement

এই বছরের অক্টোবরে ৩৮ বছর বয়স হবে ঋদ্ধির। ২০০৭ সালে অভিষেক হয় তাঁর ভারতীয় দলে। এই বছরের শুরুতে ভারতীয় দলের তরফে ঋদ্ধিকে জানিয়ে দেওয়া হয়, তাঁকে আর দলে ভাবা হচ্ছে না। এর পর বাংলার হয়ে ব্যক্তিগত কারণে রঞ্জির গ্রুপ পর্বে খেলতে চাননি তিনি। সেই সময় সিএবি-র এক কর্তা ঋদ্ধির দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাতেই ক্ষোভ তৈরি হয়। সেই ক্ষোভ এতটাই বড় হয়ে ওঠে যে বাংলা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন ঋদ্ধি। তাঁকে বহু বার বোঝানো হলেও আর বাংলার হয়ে খেলতে চাননি তিনি। শেষ পর্যন্ত বাংলা ছেড়ে ত্রিপুরার দিকেই পা বাড়ালেন ঋদ্ধি। যদিও অভিজ্ঞ উইকেটরক্ষক এখনও পর্যন্ত এই বিষয় কোনও মন্তব্য করেননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন