ম্যারাথন শেষের সেই মুহূর্ত। ছবি: রয়টার্স।
১০০ মিটার দৌড়েও যা দেখা যায় না, তা দেখা গেল ম্যারাথনে। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ম্যারাথনে এক চুল এগিয়ে থাকায় সোনা জিতলেন তানজানিয়ার ফেলিক্স সিমবু। রুপো পেলেন জার্মানির আমানাল পেত্রোস। অতীতে ম্যারাথনে এত হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখা যায়নি।
ম্যারাথন দৌড় হয় ৪২.১৯৫ কিলোমিটারের। সোনা এবং রুপোর ফারাক হয়েছে এক সেকেন্ডের তিনশো ভাগের এক ভাগ সময়ে। সিমবু এবং পেত্রোস, দু’জনেই শেষ করেছেন ২ ঘণ্টা ৯ মিনিট ৪৮ সেকেন্ড সময়ে। এক চুল এগিয়ে থাকায় সোনা জিতেছেন সিমবু। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ১০০ মিটারে প্রথম এবং দ্বিতীয়ের ফারাক ছিল ০.০৫ সেকেন্ডের। ম্যারাথনে তার থেকেও কম ব্যবধান হল।
ডান হাতের জন্য সোনা জিতেছেন সিমবু। ফিনিশিং লাইনে পৌঁছে দড়িতে আগে তাঁর ডান হাত লাগে। পেত্রোস মাথা এগিয়ে দিয়ে আগে শেষ করার চেষ্টা করেছিলেন। সফল হননি তিনি। শেষ পাঁচ মিটারে পেত্রোসকে টপকে যান সিমবু। ২০০১ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ইথিয়োপিয়ার গেজাহেগনে আবেরা এক সেকেন্ডের ব্যবধানে হারিয়েছিলেন কেনিয়ার সাইমন বিয়োটকে। সেটাই ছিল সবচেয়ে কম সময়ের ব্যবধান।
সোনা জয়ের পর সিমবু বলেন, “স্টেডিয়ামে ঢোকার সময়েও নিশ্চিত ছিলাম না জিততে পারি। জেতার পরেও বুঝতে পারিনি। ভিডিয়োয় নিজের নাম উপরে দেখার পর বুঝতে পারি। আজ ইতিহাস তৈরি করলাম। তানজানিয়াকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম সোনা দিলাম।”
এ দিকে, ছেলেদের হাই জাম্পের ফাইনালে উঠেছেন ভারতের সরবেশ কুমার। মঙ্গলবার তিনি নামবেন। তবে সোনা জিততে গেলে নিজের পারফরম্যান্স ছাপিয়ে যেতে হবে সরবেশ। যোগ্যতা অর্জন পর্বে প্রথম হয়েছেন যিনি, তিনি ২.৩৬ মিটার লাফিয়েছেন। সরবেশ সেখানে ২.২৬ মিটার লাফিয়েছেন।
সোমবার বাকি ভারতীয়েরা হতাশ করেছেন। আশা ছিল লং জাম্পার মুরলী শ্রীশঙ্করকে নিয়ে। তিনি ফাইনালে উঠতে পারেননি। তিনি সর্বোচ্চ ৭.৭৮ মিটার লাফিয়েছেন। নিজের সেরা ফলের ধারেকাছেও যেতে পারেননি। দু’বছর আগে ফাইনালে উঠলেও এ বার ব্যর্থ।
মহিলাদের ৩০০০ মিটার স্টিপলচেজ়ে নবম স্থানে শেষ করে ছিটকে গেলেন পারুল চৌধরি। তিনি সময় করেন ৯:২২.২০ মিনিট। ব্যক্তিগত সেরার চেয়ে ১০ সেকেন্ড বেশি। ছেলেদের ১১০ মিটারে তেজস শীর্ষে ০.০৬ সেকেন্ডের জন্য সেমিফাইনালের যোগ্যতা অর্জন করতে পারেননি।