চ্যাম্পিয়নকে উপহার। বুধবার ইস্টবেঙ্গল মাঠে ডং। ছবি: উৎপল সরকার।
ঐতিহাসিক ‘ডাবল’-এ ‘অপরাজিত’ লোগো লাগিয়ে ইস্টবেঙ্গলের ঘরে লিগ-ট্রফি তুলতে চাইছেন বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য।
বুধবার প্র্যাকটিসের পরে ইস্টবেঙ্গল কোচ বললেন, ‘‘এই ট্রফি খুব দামি। আর দামি জিনিসে দাগ লাগলে মন খারাপ হয়ে যায়। অপরাজিত থেকেই আমাদের ইতিহাস গড়া লিগ শেষ করতে চাই।’’
বিশ্বজিৎ চাইলেও কাজটা খুব সহজ নয় বোধহয়। আসলে ডার্বি জেতার পরে ইস্টবেঙ্গলকে ফুরফুরে দেখালেও কোচের সমস্যা তো আর একটা নয়, অনেক। যে মেহতাব-খাবরারা চল্লিশ বছর পরে সাতের দশকের সমরেশ চৌধুরী, সুধীর কর্মকারদের মহা কীর্তি স্পর্শ করলেন, তাঁদের প্রায় কাউকেই আজ, বৃহস্পতিবার লাল-হলুদের শেষ লিগ ম্যাচে পাওয়া যাবে না।
প্রথম দলের তেরো জন ফুটবলার নেই। আইএসএলের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্লাবের প্রস্তুতির জেরে। তিন বিদেশি থাকলেও র্যান্টি মার্টিন্সের চোট। খেলার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। বিশ্বজিতের অবশ্য যুক্তি, ‘‘এই ম্যাচ নতুনদের কাছে নিজেদেরকে প্রমাণ করার সেরা সুযোগ তো বটেই। কোচ হিসেবে আমার কাছেও একটা বড় চ্যালেঞ্জ। শুধু আফসোস, ওদের যদি চার-পাঁচ দিন প্র্যাকটিস করানোর সুযোগ পেতাম, তা হলে আরও তৈরি হয়ে নামতে পারতাম।’’
সিনিয়রদের মধ্যে দীপক মণ্ডল আছেন। কিন্তু তাঁরও চোট। তাই ডং, বেলোদের পাশে ইস্টবেঙ্গলের সাত-আট জন নতুন ফুটবলারকে দেখা যেতে পারে সাদার্ন সমিতি ম্যাচে। এখন দেখার, দাদাদের জেতা ঐতিহাসিক হেক্সা লিগের গায়ে ‘অপরাজিত’ লোগো লাগিয়ে লাল-হলুদকে বাড়তি মর্যাদা দিতে পারেন কি না ভাইরা!