কুড়ি বছর পর ফের বিশ্বজয়ের হাতছানি। জিদানদের হাত ধরে স্বপ্নপূরণের সেই রাতে কি ফিরে আসবে লুঝনিকি স্টেডিয়ামে? বিপক্ষে ক্রোয়েশিয়া এ বারের বিশ্বকাপে অন্যতম বড় চমক। ফাইনালে নামার আগে কেমন হতে পারে ফরাসিদের প্রথম একাদশ? দেখে নেওয়া যাক এক নজরে।
হুগো লরিস: স্বাভাবিক ভাবেই গোলরক্ষকের দায়িত্ব করবেন। দলের অন্যতম ভরসা এখন হুগো লরিস।
বেঞ্জামিন পাঁভা: ২২ বছরের ফুটবলারটি এখনও পর্যন্ত পাঁচটি ম্যাচে একটি গোল করেছেন। ফাইনালের মতো ম্যাচে তাঁর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।
স্যামুয়েল উমতিতি: দলের রক্ষণের বড় ভরসা। সেমিফাইনালের একমাত্র গোলদাতা। আজ তাঁর দিকে তাকিয়ে থাকবে দল।
রাফায়েল ভারান: স্যামুয়েল উমতিতি এবং রাফায়েল ভারানের উপস্থিতির জন্য রক্ষণে এগিয়ে ফ্রান্স। শারীরিক ভাবেও বিপক্ষের থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী এঁরা।
বেঞ্জামিন মেন্ডি: তেমন ভাবে খেলার সুযোগ পাননি। ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তিনি সুযোগ পেতে পারেন বলে সূত্রের খবর।
এনগোলো কঁতে: ক্রোয়েশিয়ার লুকা মদ্রিচের সঙ্গে ফ্রান্সের এনগোলো কঁতের দ্বৈরথ খুবই আকর্ষণীয় হতে যাচ্ছে। এই দ্বৈরথটাই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিতে পারে। ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার কঁতের সামনে আজ বড় পরীক্ষা।
ব্লেস মাতুইদি: মিডফিল্ডে আক্রমণের তেজ বাড়াতে পারেন মাতুইদি। তাঁর গতি আজ দু’দলের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দিতে পারে।
পল পোগবা: কঁতের সঙ্গে পরিপূরক হয়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে পল পোগবার। মাঝমাঠের লড়াইয়ে এই জুটির দিকে তাকিয়ে থাকবে ফ্রান্স।
অঁতোয়া গ্রিজ়ম্যান: ফরাসি আক্রমণের অন্যতম বড় স্তম্ভ। আজ যত সহজে তিনি আক্রমণে যেতে পারবেন, ততই মঙ্গল দলের।
অলিভার জিরু: ৩১ বছরের এই ফুটবলারটি আজকের ম্যাচে প্রথম একাদশে থাকতে পারেন। ফরোয়ার্ডে জিরুর উপর ভরসা রাখছেন দেশঁ।
কিলিয়ান এমবাপে: আক্রমণের অন্যতম ভরসা। ক্রোয়েশিয়ার পেরিসিচ, মাঞ্জুকিচদের আরও চ্যালেঞ্জ জানানোর জন্য এমবাপেদের উপর ভরসা ফরাসি কোচের।