আইএসএলের ট্রফি। — ফাইল চিত্র।
পরের মরসুমের আইএসএলে তারা খেলতে চায় কি না, তা জানতে চেয়ে সব ক্লাবকে চিঠি পাঠাল সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন। পাশাপাশি প্রস্তাবিত দু’টি ফরম্যাটের কোনটিতে তারা খেলতে চায় তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে। সেই ভিত্তিতে এএফসি, সুপ্রিম কোর্ট এবং কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রককে রিপোর্ট দেওয়া হবে।
আইএসএল এখনও শুরু হয়নি। ফলে এএফসি-র নির্দিষ্ট করে দেওয়া ২৪টি ম্যাচ না খেলতে পারলে তাদের কোনও প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া যাবে না। এই অবস্থায় ক্লাবগুলি ফেডারেশনকে অনুরোধ করেছিল যাতে এএফসি-র সঙ্গে কথা বলে অন্তত এ বারের জন্য বিশেষ ছাড় চাওয়া হয়। তাই জন্যই ক্লাবগুলির থেকে অংশগ্রহণের নিশ্চয়তা চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে ফেডারেশন।
চিঠিতে জানানো হয়েছে, আগামী ১ জানুয়ারির মধ্যে উত্তর দিতে হবে। সেই উত্তর পেয়ে ফেডারেশন তথ্য জানাবে এএফসি, ক্রীড়ামন্ত্রক এবং সুপ্রিম কোর্টকে। ফেডারেশন জানিয়েছে, ২ জানুয়ারির মধ্যে ক্রীড়ামন্ত্রককে বৈঠকের সব তথ্য জানাতে হবে। পাশাপাশি, সুপ্রিম কোর্ট খুলছে ৫ জানুয়ারি। তার আগে আইনি সহায়তার জন্য সব তথ্য হাতের কাছে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কিছু দিন আগের বৈঠকে ফেডারেশনের তরফে দু’রকম লিগের প্রস্তাব দেওয়া হয়। প্রথম বিকল্প হল, ১৪টি দলকে পশ্চিম এবং পূর্ব, এই দু’ভাগে ভাগ করে নিজেদের মধ্যে দু’টি করে ম্যাচ খেলা। দু’টি গ্রুপ থেকে চারটি করে দল এক পর্বের চ্যাম্পিয়নশিপ রাউন্ড খেলবে। সেখান থেকে আইএসএলের চ্যাম্পিয়ন নির্ধারিত হবে।
দ্বিতীয় বিকল্প, প্রতিটি দলই একে অপরের বিরুদ্ধে রাউন্ড রবিন ফরম্যাটে খেলবে। কোনও প্লে-অফ হবে না। পয়েন্ট তালিকায় যারা সবার উপরে থাকবে তারাই বিজয়ী। যা-ই হোক, ২৪ ম্যাচ খেলা হচ্ছে না কোনও দলেরই।
জানা গিয়েছে, এএফসি-র অনুমতি না পাওয়া গেলেও আইএসএল আয়োজন করতে মরিয়া ফেডারেশন। ফলে সুপার কাপ জয়ী গোয়া এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২-এর প্লে-অফে খেলার সুযোগ পাবে না।