East Bengal

টানা চার ম্যাচে জয়ের মুখ দেখল না ইস্টবেঙ্গল, এগিয়ে গিয়েও গোল হজম করে ড্র লাল-হলুদের

এগিয়ে গিয়েও পরে গোল হজম করে চলতি মরসুমে অনেক গুলি ম্যাচে পয়েন্ট নষ্ট করেছে ইস্টবেঙ্গল। শনিবার অ্যাওয়ে ম্যাচে চেন্নাইয়িনের বিরুদ্ধেও একই জিনিস।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২৩ ১৯:৩৫
Share:

ইস্টবেঙ্গলের গোলের পর বিষ্ণুর উচ্ছ্বাস। যদিও ম্যাচের শেষে তা স্থায়ী হল না। ছবি: টুইটার।

ম্যাচের পর ম্যাচ চলে যাচ্ছে। কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের পুরনো রোগ কিছুতেই কাটছে না। এগিয়ে গিয়েও পরে গোল হজম করে চলতি মরসুমে অনেক গুলি ম্যাচে পয়েন্ট নষ্ট করেছে ইস্টবেঙ্গল। শনিবার অ্যাওয়ে ম্যাচে চেন্নাইয়িনের বিরুদ্ধেও একই জিনিস। প্রথমার্ধে এগিয়ে গিয়েও রক্ষণের ভুলে দ্বিতীয়ার্ধে গোল হজম করে জেতা ম্যাচ ড্র করে ফিরছে তারা। শনিবারের ম্যাচ শেষ হল ১-১ গোলে।

Advertisement

চেন্নাই রওনা দেওয়ার আগে বিমান বিভ্রাটের মুখোমুখি হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। ফলে শুক্রবার অনেক রাতে পৌঁছয় তারা। সেই ক্লান্তিতেই কি না জানা নেই। কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের খেলায় শুরুর দিকে বাদে বাকি সময়ে সে রকম আগ্রাসন লক্ষ করা গেল না। বার বারই বল হারাচ্ছিল তারা। খেলার মধ্যেও কোনও বুদ্ধিমত্তার ছাপ দেখা যায়নি। তার থেকেও বড় ব্যাপার, প্রতি ম্যাচেই শেষ মুহূর্তে এসে লাল-হলুদের খেলায় ক্লান্তির ছাপ দেখা যাচ্ছে। ফুটবলারদের মনঃসংযোগেও ব্যাঘাত হচ্ছে। যে কারণে গোল খেয়ে যাচ্ছে তারা। চেন্নাইয়িনের বিরুদ্ধে গোল হজমও মুহূর্তের ভুলে। তবে চেন্নাইয়িন দ্বিতীয়ার্ধের সুযোগ গুলি কাজে লাগাতে পারলে অনায়াসে জিততে পারত।

ম্যাচের শুরু থেকে ইস্টবেঙ্গলের খেলাতেই আগ্রাসন লক্ষ্য করা যাচ্ছিল। বল তাদের পায়েই অনেক বেশি ছিল। চার মিনিটের মাথায় হরমনজ্যোত খাবরা এবং পরের মিনিটে সাউল ক্রেসপোর কাছে সুযোগ ছিল। দু’জনেই তা নষ্ট করেন। এ দিকে, আট মিনিটে চেন্নাইয়ের অজিতের শট ভাল বাঁচিয়ে দেন প্রভসুখন গিল। প্রথম দশ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের বলের নিয়ন্ত্রণ ছিল প্রায় ৭০ শতাংশের কাছাকাছি। তার পর থেকেই ম্যাচে ফিরতে শুরু করে চেন্নাইয়িন। ১৫ মিনিটে সামনে থেকে সুযোগ নষ্ট করেন জর্ডান মারে। বক্সে ক্রস করেছিলেন ভিন্সি। কিন্তু মারের শট তিন কাঠির বাইরে যায়।

Advertisement

২৯ মিনিটে গোল করে ইস্টবেঙ্গল। কলকাতা লিগে মাতানো তরুণ ফুটবলার পি ভি বিষ্ণুকে এ দিন শুরু থেকে নামিয়েছিলেন কার্লেস কুয়াদ্রাত। বাঁ দিক থেকে সেই বিষ্ণুর ক্রসই ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজের গোলে ঢুকিয়ে দেন আয়ুষ অধিকারী। গোল খেয়ে তেতে যায় চেন্নাই। একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে তারা। কিন্তু গোল পায়নি।

ওয়েন কয়েলের চেন্নাইয়িন দলের আক্রমণ বজায় থাকে দ্বিতীয়ার্ধেও। ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলারেরা সে ভাবে বলই পাচ্ছিলেন না। পেলেও তা নিজেদের মধ্যে খেলতে গিয়ে বিপক্ষের পায়ে তুলে দিচ্ছিলেন। খেলা যত শেষ দিকে গড়াতে, তত মনে হতে থাকে গোল খেয়ে যেতে পারে ইস্টবেঙ্গল। সেটাই হয়। ৮৬ মিনিটে সমতা ফেরায় চেন্নাই। ইস্টবেঙ্গলের হোসে পারদোর পা থেকে বল কেড়ে নেন রাফায়েল ক্রিভেলারো। নিজে শট না মেরে ডান দিকে নিনথোইয়ের উদ্দেশে বল বড়ান। সামনে একা প্রভসুখনকে পেয়ে অনায়াসে গোল করে যান মণিপুরি ফুটবলার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন