লিয়োনেল মেসি। ছবি: এক্স (টুইটার)।
ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই আটকে গেল লিয়োনেল মেসির ইন্টার মায়ামি। আল আহলির সঙ্গে ড্র করে মাঠ ছাড়লেন মেসিরা। কোনও দলই গোল করতে পারল না মায়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে। ৩২ দলকে নিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের শুরুটা দুর্দান্ত হল না।
নতুন প্রতিযোগিতা নিয়ে ফিফা কর্তাদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। কিন্তু প্রথম ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হল। দু’দলের ফুটবলারেরা চেষ্টার খামতি রাখলে না। তবু ফুটবলের আসল আকর্ষণ গোলটাই হল না। লড়াই হলেও দাপট বেশি ছিল মিশরের ক্লাবটির। মায়ামির গোলরক্ষক অস্কার উস্তারি অন্তত সাত বার দলকে বিপন্মুক্ত করেছেন। তার মধ্যে রয়েছে প্রথমার্ধের শেষ দিকে আল আহলির পাওয়া পেনাল্টিও। ম্যাচের ৪৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে নেওয়া ত্রেজেগুয়ের শট ডান দিকে ঝাঁপিয়ে আটকে দেন উস্তারি। ২০০৫ সালে অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ জয়ী আর্জেন্টিনা দলের গোলরক্ষক ছিলেন তিনি। দেশের জার্সি গায়ে সেটাই ছিল মেসির প্রথম ট্রফি। ২০০৮ সালে অলিম্পিক্স সোনাজয়ী দলেও ছিলেন দু’জনে। ক্লাব বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে আর্জেন্টিনার বিশ্বজয়ী অধিনায়ককে ছাপিয়ে নায়ক হয়ে উঠলেন জাতীয় দলে তাঁরই প্রাক্তন সতীর্থ।
ব্যস্ততা কম ছিল না আল আহলি গোলরক্ষক মোহাম্মদ এল শেনাউইয়েরও। অন্তত পাঁচ বার মায়ামির ফুটবলারদের হতাশ করেছেন তিনি। তার মধ্যে রয়েছে মেসির একটি দুরন্ত শটও। ম্যাচের ৬ মিনিটে লুইস সুয়ারেজের একটি শটও আটকে দেন। তবে তার ২ মিনিট আগেই মেসির একটি শট বারে না লাগলে ঘরের মাঠে এগিয়ে যেতে পারত মায়ামি।
প্রথম ম্যাচে আটকে যাওয়ায় ক্লাব বিশ্বকাপের পরের পর্বে ওঠার রাস্তা কিছুটা কঠিন হয়ে গেল মেসিদের। গ্রুপ ‘এ’র অন্য দুই দল পোর্তো এবং পালমেরাস। দলগত শক্তির নিরিখে এই দু’দলকেই এগিয়ে রাখছেন ফুটবল বিশেষজ্ঞদের একাংশ।