উসেইন বোল্ট। ছবি: এক্স।
টোকিয়োয় চলছে বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ। পুরুষদের ১০০ মিটারে দৌড়ে যাঁর বিশ্বরেকর্ড ভাঙার চেষ্টা করেন বিশ্বের সেরা স্প্রিন্টারেরা, সেই উসেইন বোল্ট অসুস্থ। বিশ্বের দ্রুততম মানুষের সিঁড়ি ভাঙতেও এখন কষ্ট হয়।
ব্রিটেনের এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বোল্ট এখন বেশির ভাগ সময় বাড়িতেই থাকেন। সন্তানদের সঙ্গে দিন কাটে তাঁর। ভাল করে হাঁটতে পারেন না। কষ্ট হয় সিঁড়ি ভাঙতে। শ্বাসকষ্টও হয় বোল্টের। এক সাক্ষাৎকারে সমস্যার কথা নিজেই জানিয়েছেন জামাইকার প্রাক্তন স্প্রিন্টার। বোল্ট বলেছেন, ‘‘সিঁড়ি দিয়ে উঠতে হলে আমার দম বন্ধ হয়ে যায়। কম বয়সে এমন কোনও সমস্যা ছিল না। যত বয়স বাড়ছে তত সমস্যা বাড়ছে। ভাবছি আবার দৌড় শুরু করব।’’
২০১৭ সালে অবসর নেন বোল্ট। বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ দেখতে ৩৯ বছরের প্রাক্তন স্প্রিন্টার এখন রয়েছেন টোকিয়োয়। সেখানেই নিজের সমস্যার কথা জানিয়েছেন। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, এখনকার স্প্রিন্টারেরা কেন তাঁর মতো দ্রুতগতির নয়? জবাবে বোল্ট বলেছেন, ‘‘আমরা বেশি প্রতিভাবান ছিলাম। এটাই আসল পার্থক্য। প্রযুক্তি যতই উন্নত হোক না কেন, প্রতিভার ঘাটতি পূরণ করা যায় না।’’
বোল্টের অ্যাকিলেস টেন্ডন ফেটে গিয়েছে। কাফ মাসল এবং গোড়ালির হাড় জুড়ে রাখে অ্যাকিলেস টেন্ডন। এই ধরনের সমস্যা সাধারণত দৌড়বিদদের বেশি হয়। এ ছাড়াও স্কোলিয়োসিসের (মেরুদণ্ড বেঁকে যাওয়া) সমস্যায় ভুগছেন প্রাক্তন অ্যাথলিট। এই সমস্যায় শ্বাসকষ্ট হয়। সকালে সন্তানদের স্কুলে নিয়ে যান। সিনেমা দেখেন। কখনও কখনও সন্তানদের সঙ্গে খেলেন।
আটটি অলিম্পিক্স সোনা, ১১টি বিশ্ব খেতাব আর তিনটি বিশ্বরেকর্ড এখনও বোল্টের দখলে—১০০ মিটার (৯.৫৮ সেকেন্ড), ২০০ মিটার (১৯.১৯ সেকেন্ড)এবং৪×১০০ মিটার রিলে (৩৬.৮৪ সেকেন্ড)।২০২৭ সালের বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপের সময় বেজিংয়ে সন্তানদের নিয়ে যেতে চান।