সিডনিতে শিহরণের পর ১৫ জানুয়ারি অ্যাডিলেডে ফের অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হচ্ছে ভারত। আগের ম্যাচে পরাজিত হওয়ার পর ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া ভারত। এর জন্য স্ট্র্যাটেজিতে কী পরিবর্তন নিতে পারে বিরাট কোহালির দল?
আইসিসির রিপোর্টের পর অম্বাতি রায়ুডুকে দিয়ে একেবারেই বল করানো উচিত নয় বিরাটের। সে ক্ষেত্রে কেদার যাদবই ভারতের কাছে সেরা তুরুপের তাস হতে পারে। কারণ ব্যাটের পাশাপাশি দক্ষ ফিল্ডার, কার্যকর অফস্পিন বোলারও। সে ক্ষেত্রে একাদশের বাইরে থাকতে হবে দীনেশ কার্তিককে।
তামিলনাড়ুর অলরাউন্ডার বিজয় শঙ্করকে দলে নিলে ব্যাটিং লাইন আপ শক্তিশালী হবে। এই অলরাউন্ডার ইন্ডিয়া এ-র হয়ে নিউজিল্যান্ডে বেশ ভাল খেলেছেন। খলিল আহমদের বদলে খেলানো যেতে পারে তাঁকে।
গত ম্যাচে শন মার্শ, হ্যান্ডসকম্বদের মতো মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের দাপটে অসহায় লেগেছে ভারতীয় বোলারদের। সেই জায়গাটা মেরামত করতে হবে দ্বিতীয় ম্যাচে।
গত ম্যাচে বিরাট কোহালি, শিখর ধওয়ন, অম্বাতি রায়ুডুদের ব্যর্থতার ফল ভুগেছে ভারত। ফলে জিততে হলে রানমেশিন কোহালি-সহ টপ অর্ডারকে ফিরতেই হবে রানে।
গত ম্যাচে ১০ ওভারে ৪৬ রান দিয়েছেন মহম্মদ শামি। একটা উইকেটও পাননি। রান তেমন না দিলেও উইকেট না পাওয়ায় চাপ বেড়েছে। ইনিংসের প্রথমে শামিকে উইকেট পেতেই হবে অ্যাডিলেডে।
ডেথ ওভারে ভাল বল করতে হবে ভুবনেশ্বর কুমারকে। প্রথম দিকে ভাল বল করলেও শেষ দু’-তিন ওভার প্রচুর রান দিয়েছেন ভুবি।
যদি রবীন্দ্র জাদেজার বদলে যুজবেন্দ্র চহাল খেলেন, তা হলে বোলিং আরও শক্তিশালী হতে পারে। অ্যাডিলেডের মাঠে চহাল বিপদে ফেলতে পারেন অজি ক্রিকেটারদের। বিশেষ করে ম্যাক্সওয়েলের বিরুদ্ধে চহালের রেকর্ড খুবই ভাল।
মহেন্দ্র সিংহ ধোনির অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে হবে ভারতকে। গত ম্যাচে ৫১ রানে আউট হয়েছেন মাহি। মঙ্গলবারের ম্যাচে তাঁকে আরও অনেকক্ষণ ক্রিজে থাকতেই হবে। সঙ্গে বাড়াতে হবে স্ট্রাইক রেটও।