বিশ্ব ক্রিকেটের যুদ্ধ দামামা বেজে গিয়েছে। প্রতিটি দলই যোগ্যতম ক্রিকেটারদের নিয়ে পাড়ি দিচ্ছে ইংল্যান্ডে। দল ঘোষণায় চমকে দিচ্ছে প্রায় সব দেশই। বাংলাদেশ টিমেও রয়েছে চমক। তিনটি বিশ্বকাপ খেলা চার ক্রিকেটার-সহ এক ঝাঁক তরুণ মুখ নিয়ে দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ। প্রথম বিশ্বকাপ খেলবেন বাংলাদেশের সাত ক্রিকেটার। দলে জায়গা হয়নি তাসকিন আহমেদের মতো তারকার। কেমন হল ১৫ জনের দল? দেখে নেওয়া যাক।
মাশরফি মোর্তাজা, অধিনায়ক: অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারের হাতেই নেতৃত্বের ব্যাটন তুলে দিয়েছে বাংলাদেশ। ২০৫ ম্যাচে ১৭৫২ রান করেছেন তিনি। ২৫৯টি উইকেটও নিয়েছেন।
তামিম ইকবাল, ব্যাটসম্যান: ১৮৯টি একদিনের ম্যাচে ৬৪৬০ রান করেছেন বাঁহাতি এই ওপেনার। তাঁর ব্যাট কথা বললে বিপক্ষের বোলারদের সমস্যায় পড়তে হবে।
মহম্মদ মাহমুদুল্লাহ, অলরাউন্ডার: ১৭১টি একদিনের ম্যাচে ৩৬৭৩ রান করেছেন তিনি। ব্যাটিং তো বটেই, পার্টটাইম স্পিনার হিসাবেও বেশ ভালই।
মুশফিকুর রহমান, উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান: ২০১টি একদিনের ম্যাচে ৫৩৯২ রান করেছেন তিনি। ১৬৪টি ক্যাচ ও ৪২টি স্ট্যাম্পও রয়েছে তাঁর দখলে। নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান।
শাকিব আল হাসান, সহ-অধিনায়ক: বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারের উপর অনেকটাই নির্ভর করছে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ ভাগ্য। ১৯৫টি একদিনের ম্যাচে ৫৫৭৭ রান করেছেন, ২৪৭টি উইকেটও নিয়েছেন এই বাঁহাতি।
সৌম্য সরকার, ব্যাটসম্যান: মিডল অর্ডারকে পোক্ত করবেন তিনি। প্রয়োজনে ওপেনিংও করতে পারেন। ৪১টি একদিনের ম্যাচে ১২৭৪ রান করেছেন সৌম্য, ৪টি উইকেটও পেয়েছেন।
লিটন দাস, উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান: ২৭টি একদিনের ম্যাচে ৫০৮ রান করেছেন, ১৫টি ক্যাচ ও ৩টি স্ট্যাম্পও রয়েছে তাঁর দখলে। তবে দলে থাকলে শুধুমাত্র ব্যাটসম্যান হিসাবেই থাকবেন। উইকেটের পিছনে থাকবেন মুশফিকুরই।
সাব্বির রহমান, ব্যাটসম্যান: মিডল অর্ডারে মূলত খেলেন তিনি। ৫৭টি একদিনের ম্যাচ খেলে ১২১২ রান করেছেন তিনি। তিনটি উইকেটও পেয়েছেন।
মেহেদি হাসান, অলরাউন্ডার: ২৫টি একদিনের ম্যাচে ২৯১ রান করেছেন তিনি। ২৬টি উইকেট পেয়েছেন। মূলত স্পিনার হলেও লোয়ার মিডলে মেনে ভালই ব্যাটিং করেন।
মহম্মদ মিঠুন, উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান: ১৫টি ম্যাচে ৩৬০ রান করেছেন তিনি। পাঁচটি ক্যাচও নিয়েছেন। লিটনের মতো মিঠুনও দলে থাকছেন শুধুমাত্র ব্যাটসম্যান হিসাবেই।
রুবেল হোসেন, বোলার: ৯৬টি একদিনের ম্যাচে ১২২টি উইকেট পেয়েছেন রুবেল। তাঁর গতি বিপক্ষের ত্রাসের কারণ হতে পারে।
মুস্তাফিজুর রহমান, বোলার: ৪৩টি একদিনের ম্যাচে ৭৭টি উইকেট পেয়েছেন কাটার মাস্টার। ইংল্যান্ডের পরিবেশে তাঁর সুইং কাজে দেবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
মহম্মদ সৈফুদ্দিন, বোলিং অলরাউন্ডার: ১০টি একদিনের ম্যাচ খেলে ১৭৫ রান করেছেন, ৭টি উইকেটও রয়েছে তাঁর দখলে।
মোসাদ্দেক হোসেন, ব্যাটসম্যান: মিডল অর্ডারেই খেলেন মূলত। ২৪টি একদিনের ম্যাচে ৩৪১ রান পেয়েছেন, ১১টি উইকেটও দখলে রয়েছে তাঁর।
আবু জায়েদ চৌধুরী, বোলার: বেশ বড়সড় চমক দিয়ে বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছেন শ্রীহট্টের এই পেসার। নিউজিল্যান্ডে দারুণ বোলিং করেছিলেন, তাই মিলল সুযোগ। বিশ্বকাপ দিয়েই আন্তর্জাতিক স্তরে ওয়ান ডেতে অভিষেক হতে চলেছে তাঁর।