Commonwealth Games

মিলল সরকারের অনুমতি, ২০৩০ কমনওয়েলথ গেমস আয়োজনের দাবি জানাল ভারত

সব ঠিক থাকলে ২০ বছর পর আবার ভারতে বসতে চলেছে কমনওয়েলথ গেমসের আসর। বুধবার কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি মেলায় আনুষ্ঠানিক ভাবে এই প্রতিযোগিতা আয়োজনের প্রস্তাব দিল ভারত।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০২৫ ১৪:২৩
Share:

আবার ভারতে হবে কমনওয়েলথ গেমস। — প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

সব ঠিক থাকলে ২০ বছর পর আবার ভারতে বসতে চলেছে কমনওয়েলথ গেমসের আসর। বুধবার কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি মেলায় আনুষ্ঠানিক ভাবে এই প্রতিযোগিতা আয়োজনের প্রস্তাব দিল ভারত। অহমদাবাদ শহরে কমনওয়েলথ গেমস আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। চূড়ান্ত প্রস্তাব জমা করতে হবে ৩১ অগস্টের মধ্যে। কমনওয়েলথ গেমসের খরচ বহন করবে কেন্দ্রীয় সরকার।

Advertisement

২০৩০-এর কমনওয়েলথ গেমস আয়োজন করতে আগেই আগ্রহ দেখিয়েছিল ভারত। বুধবার সাধারণ সভায় সেই প্রস্তাব পাশ হয়ে গিয়েছে। পুরোদস্তুর প্রস্তুতি দ্রুত শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন ভারতের অলিম্পিক্স কমিটির (আইওএ) যুগ্ম সচিব কল্যাণ চৌবে। কানাডা ইতিমধ্যেই নাম তুলে নেওয়ায় ভারতের সম্ভাবনা আরও বেড়েছে। তাদের লড়াই নাইজেরিয়ার সঙ্গে। এ ছাড়া আয়োজনের প্রস্তাব দিতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকাও।

কর্মসমিতির সদস্য রোহিত রাজপাল বলেছেন, “২০৩০-এর কমনওয়েলথ গেমস হবে পূর্ণাঙ্গ মাপের। আমরা যে খেলাধুলোয় ভাল সেগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে যাতে পদকের সংখ্যা অনেকটাই বাড়ে।” উল্লেখ্য, ২০২৬-এর গ্লাসগো গেমসে হকি, ব্যাডমিন্টন, কুস্তি এবং শুটিংয়ের মতো ইভেন্ট নেই, যেগুলো থেকে ভারত নিয়মিত পদক জিতেছে।

Advertisement

রাজপাল আরও বলেছেন, “তিন ধরনের খেলা থাকে। প্রথমত, কমনওয়েলথ গেমসের মূল খেলা যা প্রতি বারই হয়। দ্বিতীয় ভাগে থাকে আয়োজক দেশের পছন্দের খেলা এবং তৃতীয় ভাগে অতিরিক্ত খেলা। ২০৩০-এর কমনওয়েলথ গেমসে ঐতিহ্যশালী এবং স্বদেশি খেলাধুলো রাখব আমরা। শুটিং, তিরন্দাজি, কুস্তি, কবাডি, খো খো-র মতো খেলা থাকবে।”

কমনওয়েলথ স্পোর্টসের গেমস ডিরেক্টর ডারেন হল সম্প্রতি অহমদাবাদে এসে পরিকাঠামো দেখেছেন এবং গুজরাত সরকারের আধিকারিকদের সঙ্গেও কথা বলেছেন। এ মাসের শেষে আরও একটা বড় দলের আসার কথা। নভেম্বরের শেষে ২০৩০-এর আয়োজকদের নাম ঘোষণা করা হবে।

আজ পর্যন্ত ভারত এক বারই কমনওয়েলথ গেমস আয়োজন করেছে ২০১০ সালে। সে বার খেলাধুলো ছাপিয়ে শিরোনামে এসেছিল অব্যবস্থা এবং আর্থিক দুর্নীতি। অ্যাথলিটস্‌ ভিলেজ, স্টেডিয়াম-সহ একাধিক পরিকাঠামো তৈরিতে অনেক দেরি হয়, বাজেট বেড়ে যায়, নেহরু স্টেডিয়ামে ফুটব্রিজ ভাঙায় অনেক শ্রমিক আহত হন। এ সব দেখে অনেক খেলোয়াড় নাম তুলে নিয়েছিলেন।

পাশাপাশি বিপুল আর্থিক দুর্নীতি হয়েছিল সে বার। আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান সুরেশ কলমডিকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়েছিল। স্কটল্যান্ড, কানাডার মতো দেশ অব্যবস্থা দেখে দেরিতে ক্রীড়াবিদদের পাঠিয়েছিল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement