অস্ট্রেলিয়ার পর নিউজিল্যান্ড। অব্যাহত জয়ের ধারা। কিউয়িদের নেপিয়ারে নাস্তানাবুদ করে বিধ্বংসী ফর্মে থাকা টিম ইন্ডিয়া দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে শনিবার। দলে একটি পরিবর্তন হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। দেখে নেওয়া যাক নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচে কেমন দল নামাতে পারেন কোহালিরা।
শিখর ধওয়ন: রোহিতের সঙ্গে ইনিংস শুরু করবেন শিখর ধওয়নই। প্রথম ম্যাচে দারুণ খেলেছেন। শিখরের ফর্মে ফেরা স্বস্তি দিয়েছে দলেকে। এখন দেখার দ্বিতীয় ম্যাচে কতটা সফল হন।
রোহিত শর্মা: একদিনের ম্যাচে ভারতের অন্যতম বড় ভরসা। কিন্তু, ধারাবাহিকতার অভাব রোহিতের বড় সমস্যা। শেষ ম্যাচেও ভুল শট নিয়ে আউট হয়েছেন। বিশ্বকাপের আগে রোহিতের ধারবাহিকতা দলের পক্ষে খুব প্রয়োজনীয়।
বিরাট কোহালি: ওয়ানডেতে তর্কাতিত ভাবে এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যান। আইসিসির শিরোপাও এখন তাঁর মাথায়। গত বছর বিশ্বের সব থেকে বেশি রান সংগ্রহকারীও ছিলেন। বর্তমান ভারতীয় দলটি বড্ড বেশি কোহালি নির্ভর। রান তাড়া করার ক্ষেত্রে তাঁর বিকল্প কেউ নেই।
এমএস ধোনি: উইকেটের পিছনে মিস্টার কুলই থাকছেন। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে একদিনের ম্যাচে রান পেয়ে ধোনির ফর্মে ফেরা কোহালিদের স্বস্তি দিয়েছে। প্রথম ম্যাচে ব্যাট করার সুযোগ আসেনি। তবে উইকেটের পিছন থেকে ধোনির পরামর্শ দলের পক্ষে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল।
কেদার যাদব: চোট সারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচে দলে ফিরেই ব্যাট হাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। কিউইদের বিরুদ্ধে প্রথম একদিনের ম্যাচেও গুরুত্বপূর্ণ সময় উইকেট তুলে বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি কতটা কার্যকর।
দীনেশ কার্তিক: টি টোয়েন্টির পর একদিনের ম্যাচেও ক্রমে মিডল অর্ডারে অপরিহার্য হয়ে উঠছেন। অ্যাডিলেড-মেলবোর্নে ধোনির সঙ্গে পার্টনারশিপ বুঝিয়ে দলের পক্ষে কতটা গুরুত্বপূর্ণ। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে কার্তিকের অভিজ্ঞতা দলের পক্ষে জরুরি। প্রথম ম্যাচে সুযোগ না পেলেও দ্বিতীয় ম্যাচে দলে ফিরতে পারেন। রায়ুডুর জায়গায় কার্তিকের সম্ভাবনা প্রবল।
বিজয় শঙ্কর: হার্দিক পাণ্ড্যর উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে গিয়েছে। এই ম্যাচে সুযোগ পেলে কাজে লাগাতে হবে শঙ্করকে। প্রথম দু’টি ম্যাচে তেমন কিছু করতে পারেননি। সফল না হলে হার্দিক ফিরলে দলে থাকা কঠিন হয়ে যাবে।
ভুবনেশ্বর কুমার: দলের পেস আক্রমণের দায়িত্ব রয়েছে ভুবির কাঁধে। অস্ট্রেলিয়া সফরের পর নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচেও বল হাতে দারুণ ভূমিকা নিতে দেখা গিয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ সময় উইকেট তুলে বিপক্ষের রানকে আটকে দেওয়ার ক্ষমতা আছে। নিউজিল্যান্ডের পরিবেশে ভুবি কার্যকর হবেন আশা করা যায়।
যুজবেন্দ্র চহাল: প্রথম ম্যাচে ফর্মে থাকা রস টেলরকে ফিরিয়ে দলকে মোক্ষম সাফল্য দিয়েছিলেন। চহালের ভেল্কি দেখার জন্য দ্বিতীয় ম্যাচেও তাকিয়ে থাকবেন কোহালিরা।
কুলদীপ যাদব: গত বছরে ৪৮ উইকেট নেওয়া এই চায়নাম্যান বোলারটি ক্রমেই পরিণত হয়ে উঠছেন। প্রথম ম্যাচে বিপজ্জনক হয় উঠতে থাকা কেন উইলিয়ামসনকে ফিরিয়ে কিউইদের আশা শেষ করে দিয়েছিলেন। কুল-চা জুটির চমক দ্বিতীয় ম্যাচে অব্যাহত থাকলে লাভ ভারতের।
মহম্মদ শামি: মহম্মদ শামির সুইং ও গতি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছিল প্রথম ম্যাচেই। ভারতীয়দের মধ্যে দ্রুততম শততম উইকেট সংগ্রহকারী শামি দ্বিতীয় ম্যাচেও নিউজিল্যান্ডকে প্রাথমিক ধাক্কা দেওয়ার জন্য অপেক্ষায় থাকবেন।