ওয়েলিংটনে প্রথম ম্যাচে শোচনীয় পরাজয়ের পর অকল্যান্ডে দুর্দান্ত জয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ঘুরে দাঁড়াল টিম ইন্ডিয়া। কারা ছিলেন সেই জয়ের মূল কারিগর? কী কী কারণেই বা জয় পেল ভারত? দেখে নিন এক ঝলকে।
অকল্যান্ডে জয়ের পিছনে রয়েছে ভারতীয় বোলারদের বড় অবদান। প্রথম ম্যাচে ৪ ওভারে ৪৭ রান দিয়েছিলেন ভুবনেশ্বর কুমার। তবে এ ম্যাচে শুরুতেই বিপজ্জনক টিম সাইফার্টকে আউট করে কিউয়িদের বড়সড় ধাক্কা দেন ভুবি। ৪ ওভারে ২৯ রান দেন তিনি।
কিউয়িদের বড় রানের ইনিংসের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ান বাঁ হাতি স্পিনার ক্রুণাল পাণ্ড্য। ভুবনেশ্বর কুমারের মতো শুরুতেই তুলে নেন কলিন মুনরো, কেন উইলিয়ামসন এবং ডারিল মিচেলের মতো ব্যাটসম্যানদের। ৪ ওভারে ২৮ রানে ৩ উইকেট নিয়ে বোলিং শেষ করেন ২৭ বছরের এই অলরাউন্ডার। ক্রুণালের দাপটে ৭.৫ ওভারেই নিউজিল্যান্ড স্কোর হয়ে যায় ৫০-৪।
প্রথম ম্যাচে ৪ ওভারে ৪৮ রান খরচ করেছিলেন খলিল আহমেদ। তবে এ ম্যাচে দেখা গেল পুরনো খলিলকে। প্রথম দিকে ভুবি-ক্রণালের পর কিউয়ি ইনিংসের শেষের দিকে ২৭ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নেন তিনি। ফলে ডেথ ওভারেও মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেননি কিউয়িরা।
নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং ব্যর্থতাও এ ম্যাচে ভারতের জয়ের অন্যতম কারণ। ওয়েলিংটনে জয়ের নায়ক টিম সাইফার্ট বা কেন উইলিয়ামসন, কলিন মুনরোরা এ ম্যাচে বড় রান পাননি। রস টেলর (৩৬ বলে ৪২) এবং কলিন ডি’গ্র্যান্ডহম (২৮ বলে ৫০) চেষ্টা করলেও ইনিংসের শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে পারেননি। ফলে মাত্র ১৫৮ রানেই কিউয়িদের ইনিংস শেষ হয়।
বোলিংয়ের পাশাপাশি ভারতীয়দের দুরন্ত ফিল্ডিংও দেখল অকল্যান্ড। ক্যাচ ধরলেন, বাউন্ডারি লাইনে ঝাঁপিয়ে রান বাঁচালেন, প্রায় সবই ঠিকঠাক করলেন ভারতীয়রা। নিউজিল্যান্ড অধিনায়কও স্বীকার করেন, এত ছোট বাউন্ডারির মাঠে ১৮০-২০০ রান তোলা উচিত ছিল। তবে তা হয়নি।
অকল্যান্ডে ফিরে এলেন ‘হিট-ম্যান’। নিউজিল্যান্ডের মার্টিন গাপ্টিলকে (২২৭২) টপকে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান (২২৮৮) করেন রোহিত শর্মা। এ ছাড়া, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসাবে একশোর বেশি ছয় মারেন তিনি। রোহিত করেন ২৯ বলে ৫০।
ভারতের জয়ের পিছনে ঋষভ পন্থের ব্যাটিংয়ের কথাও বলতে হয়। ওয়েলিংটনে মাত্র ৪ রান করা ঋষভের ব্যাট থেকে এ ম্যাচে এল ২৮ বলে অপরাজিত ৪৮ রান।
টিম সাউদি বা মিচেল স্যান্টনার, অকল্যান্ডের মাঠ থেকে উইকেট তুলতে পারলেন না কেউই। ফলে মাত্র ১৫৮ রানে পুঁজি নিয়ে শক্তিশালী ভারতীয় ব্যাটিংকেও রুখে দিতে পারেননি কিউয়িরা।