প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হারতে হয়েছে ৮০ রানের বিশাল ব্যবধানে। নিউজিল্যান্ডে এখনও পর্যন্ত কোনও টি-টোয়েন্টি জেতেনি ভারত। শুক্রবারও সেই ধারা বজায় রেখে হেরে গেলে সিরিজ খুইয়ে ফেলবে ভারত। সিরিজে সমতা ফেরাতে রোহিত শর্মার দলকে জিততেই হবে। মরণ-বাঁচনের ম্যাচে ভারতের প্রথম এগারো কী হতে পারে, দেখে নেওয়া যাক।
অধিনায়ক রোহিত ওয়েলিংটনে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে পাঁচ বলে করেছিলেন ১। টস জিতলেও বাকি ম্যাচে কোনও কিছুই ঠিকঠাক যায়নি তাঁর। ভারতকে জিততে হলে শুক্রবার কিন্তু হিটম্যানকে চেনা মেজাজে পাওয়া জরুরি।
বাঁ হাতি ওপেনার শিখর ধওয়ন ভাল শুরু করেও বড় রান পাননি প্রথম ম্যাচে। রোহিতের সঙ্গে তিনি বিশ্বক্রিকেটের অন্যতম সেরা ওপেনিং জুটি হিসেবে পরিচিত। আর তা প্রমাণ করার দিন শুক্রবারই। গব্বরের ব্যাটে বড় রান ভারতের জয় নিশ্চিত করতে পারে।
তিন নম্বরে সম্ভবত বিজয় শঙ্করকেই আরও একবার সুযোগ দেওয়া হবে। ওয়েলিংটনে খারাপ ব্যাট করেননি তিনি। তবে বড় রান পাননি। শুভমন গিলকে খেলানোর ভাবনা যতই থাক, বিজয় শঙ্করের উপর আস্থা না রাখলে ভুল হবে।
ঋষভ পন্থের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। একাই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা তিনি ধরেন । পারেন আগ্রাসী মেজাজে ম্যাচ ছিনিয়ে আনতে। কিন্তু ধারাবাহিকতার অভাব কাঁটা হয়ে বিঁধছে তাঁকে।
মহেন্দ্র সিংহ ধোনি ওয়েলিংটনে চেষ্টা করলেও তা দলকে জেতানোর পক্ষে যথেষ্ট ছিল না। ধোনিকে এই ফরম্যাটে আরও আক্রমণাত্মক মেজাজে দেখতে চাইছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।
কেদার যাদবকে খেলানো হয়নি ওয়েলিংটনে। কিন্তু দীনেশ কার্তিকের পরিবর্তে শুক্রবার খেলানো হতেই পারে তাঁকে। কার্তিক শুধু ব্যাটেই নয়, ফিল্ডিংয়েও হতাশ করেছেন প্রথম টি-টোয়েন্টিতে। আর কেদারকে খেলালে বাড়তি পাওনা তাঁর বোলিং।
হার্দিক পান্ড্য ব্যাটে-বলে চমকে দেওয়ার ক্ষমতা ধরেন। কিন্তু, ওয়েলিংটনে চার ওভারে দিয়েছিলেন ৫১। অবশ্য দুই উইকেট নিয়েছিলেন। আর ব্যাট হাতে করেন ৪। হার্দিক নিশ্চয়ই চাইবেন নিজেকে চেনাতে।
আটে সম্ভবত নামবেন ভুবনেশ্বর কুমার। তিনিই দলের পয়লা নম্বর পেসার। কিন্তু ওয়েলিংটনে চার ওভারে দিয়েছিলেন ৪৭। পারফরম্যান্সে উন্নতি করতে বদ্ধপরিকর থাকার কথা তাঁর।
ক্রুনাল পান্ড্য ওয়েলিংটনে নজর কাড়তে পারেননি। তাঁর জায়গায় দলে আসতেই পারেন চায়নাম্যান কুলদীপ যাদব। বিপক্ষ ইনিংসে ভাঙন ধরানোর ক্ষমতা রয়েছে কুলদীপের। প্রথম ম্যাচে না খেলায় সাফল্যের জন্য ক্ষুধার্তও রয়েছেন তিনি।
বাঁ-হাতি পেসার খলিল আহমেদ ওয়েলিংটনে চার ওভারে দিয়েছিলেন ৪৮। দাগ কাটতে পারেননি একেবারেই। এই অবস্থায় সুযোগ পেতেই পারেন ডানহাতি পেসার মহম্মদ সিরাজ।
লেগস্পিনার যুজবেন্দ্র চহাল ভারতীয় বোলিংয়ের অন্যতম অস্ত্র। উইকেট নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে তাঁর। ওভারের ক্রিকেটে নিজের প্রয়োজনীয়তা প্রতি ম্যাচেই বোঝাচ্ছেন তিনি।