সুনীল নারাইনের দুরন্ত অলরাউন্ড পারফরম্যান্স, লিন-উথাপ্পাদের পরিণত ব্যাটিং আর তরুণ কৃষ্ণর দুরন্ত ডেথ ওভার বোলিং— সব মিলিয়ে লিগ টপারদের একেবারে ঘরের মাঠে গিয়ে হারিয়ে প্লে অফে পৌঁছেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। ঠিক কোন জায়গাগুলিতে সানরাইজার্সকে টেক্কা দিল নাইটরা? দেখে নেওয়া যাক।
নারাইন ফ্যাক্টর: প্রথমে বল হাতে ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে ১ উইকেট, আর তার পর ওপেন করতে নেমে ১০ বলে ২৯ রানের দুরন্ত ইনিংস। ক্যারিবিয়ানের দুরন্ত অলরাউন্ড পারফরম্যান্সই দুই দলের পার্থক্য গড়ে দেয়। ছবি: পিটিআই।
কৃষ্ণ-লীলা: শেষ ওভারে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ যখন বল করতে এলেন, হায়দরাবাদ তখন ১৬৮/৫। ক্রিজে মণীশ পাণ্ডে, সাকিব। ওই ওভারে মাত্র ৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন কৃষ্ণ। দুর্দান্ত শেষ ওভার নাইটদের ম্যাচে ফিরিয়ে দেয় অনেকটাই। ছবি: এএফপি।
ভঙ্গুর মিডল অর্ডার: উইলিয়ামসন যখন আউট হলেন, হায়দরাবাদ তখন ১২৭, রান রেট প্রায় ১০। সেই অবস্থা থেকে শেষ সাত ওভারে মাত্র ৪৫ রান যোগ করে সানরাইজার্স মিডল অর্ডার। ইউসুফ পাঠান, সাকিবরা একেবারেই রান পাননি। ছবি: পিটিআই।
হিট ওপেনিং: লিন-নারাইনের দুরন্ত ওপেনিং কখনওই চাপে ফেলেনি নাইট রাইডার্সকে। নারাইন যখন আউট হন তখন ৩.৪ ওভারে নাইটরা ৫২ রান করে ফেলেছ। বাকি ১৭ ওভারের বেশি সময়ে ১২১ রান করাটা কখনওই চাপের হয়নি। দুর্দান্ত হাফসেঞ্চুরি করেন ক্রিস লিন। ছবি: এপি।
দুরন্ত মিডল অর্ডার: লিনের সঙ্গে যোগ্য সঙ্গত দেন রবিন উথাপ্পা এবং অবশ্যই ফিনিশার কার্তিক। রবিন ৪৫ করে আউট হলেও অপরাজিত ২৬ করে দলকে জিতিয়ে ফেরেন অধিনায়ক। ছবি: পিটিআই।
ক্যাচ মিস: নিজের বলে রবিন উথাপ্পার ক্যাচ ফেলেন রশিদ খান। ওই সময়ে রবিন আউট হলে ম্যাচের ফল অন্য কিছু হতেই পারত। সেই রবিনই ৩৪ বলে ৪৫ করে যান। ছবি: পিটিআই।
ফ্লপ বোলিং: যে সানরাইজার্সের বোলিংকে আইপিএলের সেরা বোলিং বলা হচ্ছিল, তারাই শনিবার রাতে ফ্লপ। এক সিদ্ধার্থ কল বাদে নজর কাড়তে পারলেন না কেউই। ৮ ওভারে ৬৪ রান দিয়ে একটিও উইকেট পাননি দলের দুই স্ট্রাইক বোলার ভুবনেশ্বর কুমার এবং রশিদ খান। ছবি: এএফপি।