আইপিএল মানেই চার-ছয়ের মারকাটারি ইনিংস। আইপিএল সম্পর্কে অলিখিত ভাবে আর একটি কথাও বলা চলে। সেটা হল, আইপিএল নাকি তারুণ্যের খেলা। সেজন্যই নাকি আইপিএলে সে ভাবে সফল নন সৌরভ-সচিন-রাহুল-লক্ষ্মণরা। কিন্তু, এ বারের আইপিএল আগের সব হিসেব পাল্টে দিচ্ছে। দাপট দেখা যাচ্ছে অপেক্ষাকৃত বয়স্কদের। দেখে নিন এমন কয়েক জনকে।
ক্রিস গেল: এখনও পর্যন্ত এ বার দশ ম্যাচে ৪৪৪ রান করেছেন। নিজের দিনে গেল নিঃসন্দেহে সেরা। প্রায় চল্লিশের কাছাকাছি বয়সের গেল তরুণদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।
এম এস ধোনি: চেন্নাইয়ের অধিনায়ক শুধু আইপিএলেই নয়, জাতীয় দলেরও সম্পদ। প্রায় একার হাতে দলকে টানছেন। এ বারের আইপিএলে ৩৭ বছরের ধোনিকে ছাড়া দুটো ম্যাচে নেমে জয় পায়নি আগেরবারের চ্যাম্পিয়নরা। ধোনি থাকলে সিএসকে এক রকম, তিনি না থাকলে অন্য রকম। বোঝাই যাচ্ছে ধোনিই এই দলটার নিউক্লিয়াস।
এবি ডি’ভিলিয়ার্স: ৩৫ বছরের বেশি বয়সের এবি বেঙ্গালুরুর অন্যতম ভরসার ক্রিকেটার। এখনও পর্যন্ত চারশোর বেশি রান করেছেন। অনেক তরুণকেই পিছনে ফেলে দিয়েছেন মারকুটে এই দক্ষিণ আফ্রিকান।
লাসিথ মালিঙ্গা: বয়স ৩৫ ছাড়িয়ে গিয়েছে। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত মুম্বইয়ের এই বোলারটি দলের বড় ভরসা। সাত ম্যাচে ১২টি উইকেট দখল করে বুঝিয়ে দিয়েছেন বয়স কোনও বাধা নয়।
সুরেশ রায়না: আইপিএলের ইতিহাসে বড় চমকের নাম রায়না। জাতীয় দলে তেমন ভাবে সুযোগ না পেলেও আইপিএলে তিনি বড় সম্পদ। ৩২ বছরের রায়না যদিও অন্যদের থেকে বয়সে কিছুটা পিছিয়ে। এ বার ১২ ম্যাচে ২৪৭ রান করা রায়না ফিল্ডার হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন।
ইমরান তাহির: দক্ষিণ আফ্রিকার এই বোলারটিকে এ বারের আইপিএলের বড় চমক বলা চলে। চল্লিশ বছরের ইমরান এ বার ১২ ম্যাচে ১৭ উইকেট দখল করেছেন। বিপক্ষের ইনিংসে ধস নামাতে ইমরানের বিকল্প সম্ভবত আর কেউ নেই।
হরভজন সিংহ: এক সময় ভারতীয় দলে তিনিই ছিলেন সেরা উইকেট টেকার। ৩৮ বছরের ভাজ্জি একটি ম্যাচে পাঁচ উইকেট দখল করে বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি ফুরিয়ে যাননি। এখনও পর্যন্ত আইপিএলে ১৪৩টি উইকেট দখল করেছেন ভাজ্জি।
পীযূষ চাওলা: জাতীয় দলে তিনি আর সুযোগ পান না। আইপিএলই একমাত্র ভরসা। ১৫৫টি আইপিএল ম্যাচে ১৪৯ উইকেট দখল করা পীযূষ এ বারও ১১ ম্যাচে নয় উইকেট দখল করেছেন।
দীনেশ কার্তিক: ফিনিসার হিসেবে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। প্রথম দিকে তেমন ভাবে খেলতে পারছিলেন না। কিন্তু, শেষ ম্যাচে রাজস্থানের বিরুদ্ধে ৫০ বলে অপরাজিত ৯৭ রান করে বুঝিয়ে দিয়েছেন ৩৩ বছরের কার্তিক এখনও ফুরিয়ে যাননি।