শেষ বলে ছয়। আর তাতেই এল জয়। চলতি আইপিএলে এমন বহু অবিশ্বাস্য ইনিংস দিয়ে জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন ব্যাটসম্যানেরা। তবে সকলেই যে চার-ছয় মেরে টিমকে জিতিয়ে ফিরেছেন, এমনটা নয়। অবিশ্বাস্য সব ইনিংস খেলেও হেরো দলের ছাপ নিয়ে ঘরে ফিরেছেন বহু তারকাই। এক নজরে চলতি আইপিএলের সে সব ইনিংস।
ইডেন গার্ডেন্সে বিরাট কোহালির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে নীতীশ রানার ইনিংসটা মনে আছে? প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২১৪ রানের পাহাড় গড়েছিল আরসিবি। চাপের মুখে নীতীশের ৪৬ বলে ঝকঝকে ৮৫ রান টিমকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যায়। ৯টি চার ও ৫টা ছয় দিয়ে সাজানো ছিল রানার ইনিংস। তবে শেষমেশ জিততে পারেনি কেকেআর।
ইডেনের ওই ম্যাচে নীতীশ রানার সঙ্গী আন্দ্রে রাসেলকে ভুলে গেলে চলবে? চলতি আইপিএলে ইতিমধ্যেই দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন রাসেল। আরসিবি-র বিরুদ্ধে শেষ ৮ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১৩৩ রান। কেকেআরকে জয়ের কাছাকাছিও নিয়ে গিয়েছিলেন রাসেল। ২৫ বলে ৬৫ রান। স্ট্রাইক রেট ২৬০। তবে সে ম্যাচ হারলেও রাসেলের ইনিংসটা মনে রেখেছেন অনেকেই।
৩৭ বছর বয়সেও কেন টিম ইন্ডিয়ায় অপরিহার্য তিনি, তা এই আইপিএলে বার বার বোঝাচ্ছেন এমএস ধোনি। আরসিবি-র বিরুদ্ধে তাঁর অপরাজিত ৮৪ রান করে ফের যেন তা বুঝিয়ে দিলেন। জয়ের জন্য এক সময় সিএসকে-র প্রয়োজন ছিল ৬ বলে ২৬ রান। প্রথম ৫ বলে ধোনির ব্যাট থেকে এল ৪,৬,৬,২,৬। তবে শেষ বলে মাত্র ১ রানের জন্য সে ম্যাচ হারে সিএসকে।
বিশ্বকাপের আগে তাঁর ফর্ম নিয়ে যাঁরা চিন্তায়, তাঁদেরকেই যেন বার্তা দিলেন কেএল রাহুল। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে অপরাজিত সেঞ্চুরি করেন তিনি। ১৯তম ওভারে হার্দিক পাণ্ড্যের বলে তোলেন ২৫। তবে উইনিং সাইডে দেখা যায়নি তাঁকে। ৩১ বলে ৮৩ রান করে মুম্বইকে জয় এনে দিয়েছিলেন পোলার্ড।
আইপিএলের পয়েন্ট টেবলে রাজস্থান রয়্যালস একেবারে শেষের দিকে রয়েছে। তবে সঞ্জু স্যামসনের ফর্ম টিমকে এখনও ভরসা দিচ্ছে। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে আইপিলে তাঁর তিন নম্বর সেঞ্চুরিটা করে ফেললেন তিনি। স্যামসনের অপরাজিত ১০২ রানের ইনিংস দেখার পর গৌতম গম্ভীর তো বলেই ফেললেন, স্যামসনকে বিশ্বকাপের দলে নিতে হবে!