৬১ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল নাইট রাইডার্স। ঘরের মাঠের বাইরে গিয়েই রীতিমতো বেকায়দায় পড়েছিলেন নাইটরা, বলা যায় এমনটাই। মেন্টর দাদা, কোচ রিকি পন্টিং, পৃথ্বী শ, কাগিসো রাবাডা সবমিলে কেকেআর কীভাবে পিছিয়ে গেল দিল্লির কাছে।
২০ ওভারের ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন দিল্লির ক্যাপ্টেন, সেখানেও বুদ্ধিদীপ্ত মনোভাবের পরিচয় দেন শ্রেয়স আইয়ার। ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হয় কলকাতাকে।
হর্ষল পটেলদের কাছে একটু হলেও অসহায় লেগেছে নাইটদের। দলের ফিল্ডিং আর ঋষভ পন্থের উইকেটকিপিংও ছিল বেশ ভাল। লিনের উইকেট পড়ার চমৎকার ক্যাচটি পন্থেরই দখলে।
কেকেআরের হাল ধরতে এগিয়ে আসেন আন্দ্রে রাসেল।মাত্র ২৮ বলে ৬২ রান করে আউট হন ক্যারিবীয় ক্রিকেটার।
তিনি ছাড়াও নাইটদের হাল ধরার চেষ্টা করেছিলেন কেকেআর ক্যাপ্টেন দীনেশ কার্তিক।৩৬ রলে ৫০ রান করেন কার্তিক। তাঁদের চওড়া ব্যাটে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৮৫ রান করে কেকেআর।
এ দিন কেকেআর পাওয়ার প্লে-তে করেছিল ৩৬-২। সেখানে দিল্লি পাওয়ার প্লে-তে তোলে ৪৫-১।
শনিবার চোট পাওয়া সুনীল নারাইন খেলেনি। মহারাষ্ট্রের উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান নিখিল নায়েককে নিয়েও লাভ হয়নি নাইটদের।
পৃথ্বী শ এবং শ্রেয়স আইয়ার, দিল্লির দুই তরুণ ক্রিকেটারের দাপুটে ও দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ভর করে এগিয়ে যায় মেন্টর দাদার দল।
পৃথ্বী শ ৫৫ বলে ৯৯ রান করেন। নাইট বোলারদের দিব্যি সামলেছেন তিনি।
অন্যদিকে, কোচ রিকি পন্টিংয়ের ‘ফেভারিট’ শ্রেয়স ৩২ বলে ৪৩ রান করেন। ছয় উইকেট হারিয়ে দিল্লির রানও শেষ হয় ১৮৫ তে। ফলে খেলা গড়ায় সুপার ওভারে।
সুপার ওভারে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১ উইকেট হারিয়ে ১০ রান করে দিল্লি ক্যাপিটালস। জয়ের জন্য কেকেআরের সামনে টার্গেট ১ ওভারে ১১ রান৷ ১ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৬ রান করতে পারে কেকেআর৷ সেখানেই পিছিয়ে যায় তারা।
সুপার ওভারে সুপার বল করে ম্যাচের নায়ক প্রোটিয়া পেসার কাগিসো রাবাডা। তিনি নির্ণায়ক ওভারে বুদ্ধিদীপ্ত বল করেন।
আইপিএলের দ্বাদশ মরশুমের প্রথম সুপার ওভারে হার কলকাতার। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নিল দিল্লি।