টানা ছয় হার, অজুহাতে নারাজ বিরাট

রবিবার চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে চার উইকেটে হারল আরসিবি। এ দিন চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের পিচ বেশ মন্থর ছিল। সাধারণত যা দেখা যায় না। বিরাট নিজেও যা নিয়ে সন্তুষ্ট নন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০১৯ ০৪:২৫
Share:

হতাশ: কোহালি ফিরলেন। দল ফের হেরে গেল। পিটিআই

টানা ছয় ম্যাচে হার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের। আইপিএল প্লে-অফে যাওয়ার রাস্তা ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠছে বিরাট কোহালির দলের। অঙ্কের যুক্তিতে যদিও এখনও স্বপ্ন শেষ হয়নি। আরও আটটি ম্যাচ হাতে রয়েছে। কিন্তু আইপিএলের মতো কঠিন প্রতিযোগিতায় টানা আট ম্যাচ জেতা যে কোনও দলের পক্ষেই কঠিন। সেখানে টানা ছয় ম্যাচ হেরে বিরাটের দলের মনোবল নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

Advertisement

রবিবার চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে চার উইকেটে হারল আরসিবি। এ দিন চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের পিচ বেশ মন্থর ছিল। সাধারণত যা দেখা যায় না। বিরাট নিজেও যা নিয়ে সন্তুষ্ট নন। তিনি বললেন, ‘‘এ ধরনের পিচে সব শট নেওয়া যায় না। এ বি আউট হওয়ার পরে ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। বাকিরা বড় শট নিতে পারত।’’ সে পিচে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে আট উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান করে আরসিবি। ৩৩ বলে সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন বিরাট। দিল্লি ক্যাপিটালসের ত্রাতা সেই কাগিসো রাবাডা। চার ওভারে ২১ রান দিয়ে ফিরিয়ে দেন বিপক্ষের চার ব্যাটসম্যানকে। যার মধ্যে এবি ডিভিলিয়ার্স ও বিরাটের উইকেটও রয়েছে। ম্যাচের সেরাও বেছে নেওয়া হয় তাঁকেই।

বিরাট যদিও এই হারের অন্যতম কারণ হিসেবে তাঁর দলের ফিল্ডিং ব্যর্থতার দিকে আঙুল তুলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘যে সুযোগ আমরা পেয়েছিলাম তা কাজে লাগাতে পারলে ১৫০ রান তোলাও বিপক্ষের কাছে কঠিন হত। শুরুতেই শ্রেয়সের ক্যাচ পড়ে। দিনের শেষে শ্রেয়সই আমাদের কাঁটা হয়ে দাঁড়ায়। আমাদের কাছে এটা নতুন কিছু নয়। মরসুমের প্রত্যেক ম্যাচেই এ ধরনের সুযোগ নষ্ট করেছি। আর কোনও অজুহাত দেওয়া সাজে না।’’

Advertisement

দিল্লির ইনিংসের প্রথম ওভারেই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার সুযোগ ছিল। ইনিংসের তৃতীয় বলেই পয়েন্ট ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান শিখর ধওয়ন (০)। সে ওভারেই শেষ বলে শ্রেয়স আইয়ারের সহজ ক্যাচ হাতছাড়া করেন পার্থিক পটেল। তখন শ্রেয়স চার রানে খেলছেন। সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করে ৫০ বলে ৬৭ রান করে ফিরে যান দিল্লি ক্যাপিটালস অধিনায়ক। শেষ হয়ে যায় বিরাটের জয়ের আশাও।

কী ভাবে পড়ল সেই ক্যাচ? বিরাটের ব্যাখ্যা, ‘‘যখন মাথা কাজ করে না, তখন সব সুযোগই মনে হয় কঠিন। আমাদের সঙ্গেও সেটাই হচ্ছে।’’ আরও বলছিলেন, ‘‘শেষের দিকে ওরা চাপে পড়ে গিয়েছিল। আর ২৫-৩০ রান বেশি করলেই আমাদের জেতার সুযোগ থাকত। দলের কাছে একটাই অনুরোধ, এ বার ম্যাচ উপভোগ করা শুরু করি। তা হলে ফলেও তার প্রভাব পড়বে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন