এই ক্রিকেটার কিন্তু বলিউডের এক নায়কও। এরকম যুগলবন্দি আর কখনও দেখা যায়নি। আসলে হ্যান্ডসাম হাঙ্ক বলতে যা বোঝায়, এই ক্রিকেটার ছিলেন ঠিক তাই।
১৯৯৬-এর ওয়ান ডে-তে বিশ্বকাপ দলের সদস্য এই ক্রিকেটার ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত পারফর্ম করেছেন।
শিন বোনে টিউমারের জন্য ক্রিকেটকে বিদায় জানাতে বাধ্য হন ডানহাতি এই অলরাউন্ডার সলিল আঙ্কোলা।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ডেবিউ হয়েছিল ১৯৮৯-১৯৯০ মরসুমে। গুজরাতের বিরুদ্ধে তিনি ৪৩ রান করেন। তিনটি উইকেটও নেন। পরের ম্যাচে নেন ছয় উইকেট।
করাচিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে টেস্টে অভিষেক হয় তাঁর। ১২৮ রানে ২ উইকেট পান তিনি।
১৯৯০ সালে ফ্র্যাঙ্ক টাইসনের সঙ্গে কাজ করে বোলিং অ্যাকশান শুধরে ফিরে আসেন ১৯৯৩ সালে ভারতের হয়ে একদিনের ম্যাচ খেলতে।
ভাল পারফরম্যান্সের দৌলতে ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপে সুযোগ পান তিনি। তবে তেমন কিছু করে দেখাতে পারেননি।
সচিনের অভিষেক ম্যাচে সলিল ছিলেন তাঁর রুম পার্টনার।
১৯৯৭ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে এই পেসার অবসর নেন মাত্র ২৮ বছর বয়সেই।
টেলিভিশনের জনপ্রিয় মুখ সলিল কিন্তু অন্য পিচে দুরন্ত ইনিংস খেলছেন। ১৯৮৯-১৯৯৭ পর্যন্ত জাতীয় দলের হয়ে ২০টি ওয়ানডে খেলেছেন সলিল। তবু ক্রিকেটার নয়, অভিনেতা হিসাবেই তিনি বেশি পরিচিত।
২০০০ সালে ‘কুরুক্ষেত্র’ ছবি দিয়ে বলিউডে ডেবিউ করেন তিনি।
এর পর অভিনয় জগতে পা রাখেন। ‘সসস.. কোই হ্যায়’-সহ বেশ কিছু ধারাবাহিকে অভিনয় করেন সলিল।
ধারাবাহিকের পাশাপাশি ‘পিতা’ (২০০২), ‘চুরা লিয়া হ্যায় তুমনে’ (২০০৩), ‘সাইলেন্স প্লিজ’ (২০০৪), ‘দ্য ড্রেসিং রুম’ (২০০৪) ছবিতেও অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। ২০০৬ সালে বিগ বসেও দেখা মিলেছিল বিশ্বকাপারের।
এক সময় মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছিলেন সলিল। রি-হ্যাবেও থাকতে হয়েছিল তাঁকে। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি। প্রযোজনা সংস্থাও খুলেছেন নিজের।