নিজের কেরিয়ারে অসংখ্য রেকর্ড ভেঙেছেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। সেই সঙ্গে ক্রিজের উল্টো দিকে দাঁড়িয়ে দেখেছেন অসংখ্য রেকর্ডের ভাঙা-গড়াও। বেশ ক’বার নিজেই ইতিহাস গড়েছেন তিনি। ধোনির জীবনে এমন বহু মুহূর্ত এসেছে যা ক্রিকেট ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। এমন কয়েকটি মুহূর্তের ছবি তুলে ধরা হল গ্যালারিতে।
সচিন তেন্ডুলকরকে টপকে বুধবার ওয়ান ডে ক্রিকেটের দ্রুততম দশ হাজারির মালিক হলেন বিরাট কোহালি। মাত্র ২০৫টি ইনিংসেই এই নজির গড়লেন বিরাট। বিশাখাপত্তনমের পিচে সেই মাহেন্দ্রক্ষণের সাক্ষী রইলেন মাহি। এর পর উচ্ছল হাসিতে ক্যাপ্টেন কোহালিকে অভিনন্দনও জানালেন ধোনি। ছবি: পিটিআই।
একটু পিছনে ফিরে তাকান। ঠিক ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০০৭-এ। দক্ষিণ আফ্রিকার কিংসমিডে ছয় বলে টানা ছ’টি সিক্সার হাঁকিয়েছিলেন যুবরাজ সিংহ। হতভাগ্য বোলারের নামটা অনেকেই ভুলতে পারেননি। ইংল্যান্ডের স্টুয়ার্ট ব্রড। টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ভারতীয় হিসাবে ওই নজির গড়েছিলেন যুবি। উল্টো দিকের ক্রিজে সে সময় ছিলেন ধোনি।
গ্বালিয়রে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ওয়ান ডে-তে দ্বিশতরান করেছিলেন সচিন তেন্ডুলকর। মাত্র ১৪৭ বলে ওই রান তুলেছিলেন সচিন। সে সময়ও ক্রিজে ছিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি।
ওয়ান ডে-তে রোহিত শর্মাই একমাত্র ব্যাটসম্যান যিনি তিন-তিনটে ডাবল সেঞ্চুরির মালিক। তাঁর ব্যাট থেকে বেরিয়েছে ২০৯, ২০৮ (অপরাজিত) এবং ২৬৪ রানের বিশাল ইনিংস। ২০১৭-তে চণ্ডীগড়ে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ২০৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন রোহিত। সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তে ক্রিজে রোহিতের সঙ্গী ছিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি।
২০১১-র আইসিসি বিশ্বকাপের রাতটি মনে রয়েছে নিশ্চয়ই! ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবে সেই রাতটি। শ্রীলঙ্কার বোলারকে ছয় হাঁকিয়ে ভারতকে দ্বিতীয় বারের জন্য বিশ্বকাপ এনে দিয়েছিলেন এমএস ধোনি।
১১ বছর পিছিয়ে যাওয়া যাক। ২০০৭-র ২৪ সেপ্টেম্বর। আইসিসি ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টির ফাইনাল। দক্ষিণ আফ্রিকার জোֈ’বার্গে মুখোমুখি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তান। টিম ইন্ডিয়ার দায়িত্বে একেবারে আনকোরা ক্যাপ্টেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। শেষ ওভারে যোগিন্দর শর্মার বলে মিসবা-উল-হক আউট হতেই ট্রফি জিতে ইতিহাস গড়ল ভারত।