স্কোরবোর্ডে ওয়েস্ট ইন্ডিজের নামের পাশে ৩২২ রান। রোহিত-বিরাটের তাণ্ডবে হেলায় ক্যারিবিয়ানদের হারিয়ে দিয়েছিল ভারত। বিশাখাপত্তনমে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে বিরাটের নেতৃত্বে আজ কি একই দল নিয়ে খেলতে নামছে ভারত?
রোহিত শর্মা যথারীতি আসবেন ওপেনিংয়ে। এই সিরিজে কোহালির তিনি ডেপুটি। গত ম্যাচেই ১১৭ বলে করেছেন অপরাজিত ১৫২ রান। তিনি না থাকলে হয়।
ওপেনিংয়ে রোহিতের সঙ্গী অতি অবশ্যই শিখর ধওয়ন। ইংল্যান্ড সিরিজের পর বাদ পড়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্ট দল থেকে। আগের ম্যাচে ছয় বলে চার রানেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। কিন্তু সাদা বলের ক্রিকেটে তিনি অন্যতম ভরসা।
কোহালির ধারাবাহিকতা, স্ট্রোক প্লে, রান তাড়া করার ক্ষমতা কে না জানে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে একদিনের সিরিজে প্রথম ম্যাচেই অধিনায়ক বিরাট কোহালি ১০৭ বলে ১৪০ রান করেছেন। তিনি তিন নম্বরে নামবেন।
গত ম্যাচে চার নম্বরে নেমেছিলেন অম্বাতি রায়ুডু। হাতে রকমারি শট রয়েছে। চার নম্বরে বিরাটের পছন্দ তিনিই। মিডল অর্ডারে নিজের জায়গা পাকা করার সুযোগ পাচ্ছেন রায়ুডু। গত ম্যাচে রোহিতকে যোগ্য সঙ্গত দিয়েছেন। ২৬ বলে ২২ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।
মহেন্দ্র সিংহ ধোনি নামতে পারেন পাঁচ নম্বরে। মিডল অর্ডারের বড় ভরসা প্রাক্তন ভারত অধিনয়াক। তিনিই দলের এক নম্বর উইকেটকিপার। তাঁর বিশাল অভিজ্ঞতার মূল্যও যথেষ্ট।
টেস্টে দারুণ ছন্দে ছিলেন। এর পর ঋষভ পন্থকে একদিনের ফরম্যাটে সুযোগ দিয়েছেন জাতীয় নির্বাচকরা। ২০ বছর বয়সী ক্রিকেটার আগ্রাসনে বিশ্বাস করেন। ইংল্যান্ড সিরিজের শেষ টেস্টে শতরান করেছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সিরিজের দুই টেস্টেই করেন ৯২। আগের ম্যাচে ব্যাট হাতে মাঠে নামতেই হয়নি। তিনি নামতে পারেন ছয় নম্বরে।
গত ম্যাচে দশ ওভারে ৬৬ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন রবীন্দ্র জাদেজা। ভুবনেশ্বর কুমার, জশপ্রীত বুমরার অনুপস্থিতিতে ভারতীয় বোলিংকে চুরমার করছিলেন ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটার শিমরন হেটমেয়ার। সেই হেটমেয়ারের উইকেটটি তুলে নেন জাদেজা। তিনি থাকবেন দলে, বিশেষজ্ঞরা তাই বলছেন।
যুজবেন্দ্র চাহাল ১০ ওভারে মাত্র ৪১ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন তিনটি উইকেট। জেসন হোল্ডার ও স্যামুয়েলসেকে প্যাভিলিয়নে পাঠান তিনিই। আট নম্বরে থাকার কথা তাঁর।
উমেশের সামনে এই সিরিজ নিজের জায়গা পাকা করার সুযোগ আনছে। গত ম্যাচে যদিও একেবারেই ভাল খেলেননি তিনি। তবে তাঁকে আজ ভারতীয় দলে রাখা হতে পারে।
ভারতের অন্যতম পেসার মহম্মদ সামি শুরুতে দারুন বল করেন গত ম্যাচে। ২ উইকেট পান তিনি। যাঁর মধ্যে হোপের উইকেটটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রায় সেট হয়ে যাওয়া হোপকে ৩২ রানে আউট করেন সামি। তিনি নামতে পারেন দশ নম্বরে।
মিডল ওভারে উইকেট নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে কুলদীপ যাদবের। চায়নাম্যানের ডেলিভারি ধরতে পারছেন না ব্যাটসম্যানরা। বল কোনদিকে ঘুরবে, বুঝতে সমস্যা হচ্ছে। এশিয়া কাপে তিনি ১০ উইকেট নিয়েছিলেন। আজ খালিলের বদলে তিনিই থাকবেন বলে মনে করা হচ্ছে।