লক্ষ্য: করোনার বিরুদ্ধে লড়তে অন্য উপায় চান দ্রাবিড়। ফাইল চিত্র
করোনা সংক্রমণের মধ্যে নিরাপত্তার একটা বলয় তৈরি করে ক্রিকেট শুরু করার পরিকল্পনায় আদৌ সায় নেই রাহুল দ্রাবিড়ের। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক বলে দিচ্ছেন, এটা মোটেই বাস্তবসম্মত ভাবনা নয়।
কোভিড ১৯ অতিমারির জেরে স্তব্ধ হয়ে থাকা ক্রিকেট চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড। কয়েক দিন আগে ইসিবি-র তরফে বলা হয়েছে, কিছু কিছু কেন্দ্রকে বিশেষ ভাবে সুরক্ষিত করে সে সব জায়গায় পাকিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্ট খেলা হবে। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেটের ‘দ্য ওয়াল’ এই পরিকল্পনার পক্ষে নন। একটি ওয়েব সেমিনারে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দ্রাবিড় বলেন, ‘‘ধরে নেওয়া হল, ইসিবি একটা সুরক্ষার বলয়ের মধ্যে ক্রিকেট ম্যাচের আয়োজন করল। কিন্তু বাকিদের পক্ষে সে ভাবে ম্যাচ করা সম্ভব হবে না। আমাদের যে রকম ঠাসা ক্রিকেট সূচি, যে ভাবে এক দেশ থেকে অন্য দেশে যেতে হয়, যত মানুষ একটা ম্যাচের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে, তাতে এ ভাবে খেলা খুবই কঠিন।’’
শুধু ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডই নয়, দক্ষিণ আফ্রিকাও একই ধরনের প্রস্তাব দিয়েছে। ভারতের বিরুদ্ধে প্রস্তাবিত সিরিজের খেলা সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে করতে চায় দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড। কিন্তু দ্রাবিড় এখানে একটা প্রশ্ন তুলেছেন। ভারতের প্রাক্তন ব্যাটসম্যান বলেছেন, ‘‘সুরক্ষা বলয় চালু করে না হয় খেলা শুরু হল। সব রকম পরীক্ষা হল ক্রিকেটারদের। তাদের নিভৃতবাসে রাখা হল। কিন্তু টেস্ট ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে দেখা গেল, একজন ক্রিকেটার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। তখন কী হবে? এখনকার নিয়ম অনুযায়ী, স্বাস্থ্য দফতরের লোকেরা এসে পুরো দলটাকেই তো নিভৃতবাসে পাঠিয়ে দেবে। যার মানে হবে, শুরু হতে না হতেই টেস্ট ম্যাচ শেষ।’’ এর পরে দ্রাবিড়ের মন্তব্য, ‘‘একটা টেস্টের জন্য সবাইকে আনতে, সুরক্ষা বলয় তৈরি করতে যা খরচ হয়েছিল, তা ওখানেই জলে যাবে!’’
জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির দায়িত্বে থাকা দ্রাবিড় একটা উপায়ের কথা বলছেন। তাঁর মতে, ‘‘স্বাস্থ্য দফতর এবং সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে আমাদের একটা রাস্তা বার করতে হবে। যাতে একজন ক্রিকেটার সংক্রমিত হলেও পুরো প্রতিযোগিতা যেন বাতিল করে না দেওয়া হয়।’’ করোনা সংক্রমণের জেরে অন্যান্য খেলার মতো ক্রিকেটও স্তব্ধ হয়ে রয়েছে বেশ কয়েক মাস। গৃহবন্দি হয়ে রয়েছেন ক্রিকেটাররা। এই পরিস্থিতিতে মাঠে ফিরলে মানিয়ে নিতে কতটা সমস্যা হতে পারে? দ্রাবিড়ের জবাব, ‘‘আমার মনে হয়, ক্রিকেটাররা যখন মাঠে ফিরবে, তখন ওদের মানিয়ে নিতে কোনও সমস্যা হবে না।’’